গত বুধবার ডাম্বুলায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিলো শ্রীলঙ্কা। আফগানদের দেয়া ২১০ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ৩ রানে হারে তাঁরা। যাতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় হাসারাঙ্গার দলকে।
ম্যাচের ফলাফলটা অবশ্য এদিন লঙ্কানদের পক্ষেই আসতে পারতো। কামিন্দু মেন্ডিসের বাহু বরাবর বল ওঠার পরেও ‘নো বল’ ঘোষণা করেননি স্কয়ার লেগে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্বে থাকা লিন্ডন এডওয়ার্ড হানিবল। ম্যাচশেষে নাম উল্লেখ না করে তাঁকে ইঙ্গিত করে নিজের ক্ষোভ ঝেড়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
একপর্যায়ে আম্পায়ারকে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আম্পায়ারিং ছেড়ে অন্য কাজ খোঁজা উচিত তার’। আম্পায়ারের সমালোচনা করায় আইসিসি আইনের ২.১৩ এর ধারা অনুযায়ী তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
এতে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। আইসিসির আচরণবিধি ভেঙে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং তিনটি ডিমেরিত পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি।
২৪ মাসের মধ্যে ৫টি ডিমেরিট পয়েন্ট হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী নিষিদ্ধ হয়েছেন হাসারাঙ্গা। পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট দুটি সানপেনশন পয়েন্টের সমান। আর দুটি সাসপেনশন পয়েন্টের শাস্তি একটি টেস্ট অথবা দুটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে নিষেধাজ্ঞা। দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিষিদ্ধ হওয়ায় আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি খেলতে পারবেন না হাসারাঙ্গা।