প্রথম ম্যাচ রানের দেখা পাননি বাবর আজম। পরের ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ১১ রান। আর তাতেই ভারতের রোহিত শর্মাকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হয়েছিলেন। শনিবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আরেক কীর্তি গড়েছেন এই পাকিস্তানী ব্যাটার। ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। আর তাতেই আরেক ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সবেচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরি এখন তার। ৪০ হাফ সেঞ্চুরির মালিক এখন বাবর আজম।
বাবরের এই রেকর্ডের রাতে পাকিস্তান তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করেছে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ড্র হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে তারা।
টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রান করে। জবাবে ৬ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
ব্যাট হাতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতেই থমকে দিয়েছিল পাকিস্তান। বল হাতে নিয়েই জোড়া আঘাত হানেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নেন এই বাম হাতি পেসার। এই ধাক্কা দক্ষিণ আফ্রিকা আর সামলে উঠতে পারেনি। যখনই একটু থিতু হওয়ার চেস্টা করেছে তারা তখনই পাকিস্তান বোলাররা উইকেট তুলে নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত আফ্রিদি তিন উইকেট নেন। ফাহিম আশরাফ ও উসমান তারিক শিকার করেন দুটো করে উইকেট। উসমান তারিক দুই উইকেট নিয়ে তার অভিষেক রাঙিয়েছেন।
ব্যাট হাতে নেমে পাকিস্তানকে জয়ের জন্য তেমন একটা দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। যদিও সায়েম আইয়ুব বিনা রানে আউট হয়েছেন। তবে বাবর আজম ঠিকই সব মালে নেন। বিশেষ করে অধিনায়ক সালমান আগার সঙ্গে তার জুটিটা বেশ জমেছিল। তৃতীয় উইকেটে তারা ৭৬ রান করেন। ৬৮ রান বাবর আজমের। আর ৩৩ রানে আউট হন সালমান আগা। জয়ের বন্দরে নৌকা ভেড়ার আগে বড় একটা ঝড় বয়ে যায় পাকিস্তানের ওপর দিযে। ১২০ রান থেকে ১৩৪ রান পর্যন্ত যেতে তারা ৪ উইকেট হারায়। দুই উইকেটে ১২০ রান থাকা দলটি এক পর্যায়ে ৬ উইকেটে ১৩৪ রানে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে তারা।
