চলমান বিপিএলের ৩৪তম ম্যাচে ঘটে গেল নাটকীয় ঘটনা! মাঠের বাইরের কাণ্ডে বেশি আলোচনায় দুর্বার রাজশাহী। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বিতর্ক রাজশাহীর বিপক্ষে। একই ঘটনায় রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে কোনো বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়াই মাঠে নেমেছিল তাসকিনরা।
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বিদেশিদের ছাড়াই রংপুরকে ২ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় চারে উঠে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজশাহী। এদিন মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করে অপরাজিত থাকে ন সানজামুল ইসলাম। এছাড়া ওপেনার জিমান আলম ২,সাব্বির হোনে ১১,এনামুল হক বিজয় ১৩ রান করে বিদায় নেন। ইয়াসির আলী ৩ ও আকবর আলী ১৯ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ করেন ১৩ রান। বল হাতে খুশদিল শাত ৪ ওভারে ১৯ রানে তিনটি এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২ উইকেট নেন।
ছোট লক্ষ্য দিয়েও বল হাতে জ্বলে উঠেন রাজশাহীর বোলাররা। তাসকিন আহমেদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী শুরু থেকেই রংপুরকে চেড়ে ধরেন। অসাধারণ বোলিংয়ে মাত্র ৩০ রানে ৬ উইকেট হারায় রংপুর রাইডার্স। একে একে বিদায় নেন স্টিভেন টেলর ২,সৌস্য সরকার ৮, সাইফ হাসান শুন্য, মেহেদী হাসান শুণ্য ও নুরুল হাসান সোহান ২ রানে।
এরপর ইফতেখার ১৪ ও খুশদিল শাস ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ৪৯ রানে ৭ উইকেটে হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে রংপুর। এরপর সাইফউদ্দিন ও রকিবুল হাসান আস্তে আস্তে রংপুরকে এগিয়ে নেন। শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। উইকেটে তখন রকিবুল হাসান ও সাইফউদ্দিন। ১৯তম ওভারে দারুণ বোলিং করে ১২ রানে আরও একটি উইকেট শিকার করেন রাজশাহীর অধিনায়ক। ফলে জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে রংপুরের প্রয়োজন হয় ২৫ রান। হাতে কেবল একটি উইকেট। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন জিসান আলম।
কিন্তু পরপর দুই বলে ছক্কায় হাকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সাইফউদ্দিন। শেষ চার বলে প্রয়োজন হয় মাত্র ১৩ রান। কিন্তু এরপর পরপর দই বলে কোন রান দেয়নি জিমান। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন জয় ৯ রান। কিন্তু নেন ছয় রান। ফলে ২০ ওভারে ১১৮ রানে থামে রংপুর। তাতে ২ রানে নাটকীয় জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে উঠলো রাজশাহী।