সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করল ভারত। ভারতের রেকর্ড গড়া ব্যাটিংয়ের দিনে ১৩৩ রানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ফলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিক ভারত।
ভারতের দেয়া ২৯৮ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। এদিন ভারতের দেয়া বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই বিদায় নেন পারভেজ ইমন। এরপর আউট হন তানজিদ হাসান। ইমন শুন্য ও তামিম ১৫ রানে বিদায় নেন।
অধিনায়ক শান্ত বিদায় নেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে। টানা দুই ম্যাচে ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ ম্যাচে ২৫ বলে ৪২ রান করেন লিটন। এপর কেবল তাওহিদ হৃদয় ছাড়া বাকি সবাই ব্যর্থ। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতা পূর্ণ করে তৃতীয় ম্যাচে ৪২ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে বাংলাদেশ।
এর আগে হায়দাবাদে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে উঠে বিশ্বরেকর্ড গড়ল ভারত। নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেড়ে গড়েছে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬০ রান করেছিল তারা। আর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড আফগানিস্তানের। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৮ রান। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রানের নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত।
তবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোরটি এখনও নেপালের দখলে, তারা এশিয়ান গেমসে ৩১৪ রান করেছিল মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে। সেই রেকর্ড না ভাঙতে না পারলেও, নিঃসন্দেহে ভারতের স্কোরবোর্ড আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে ওপরেই থাকবে
হায়দাবাদে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। ভারতের পক্ষে সাঞ্জু স্যামসন ৪৭ বলে ১১১, সুরিয়াকুমার ইয়াদভ ৩৫ বলে ৭৫, রিয়ান পারাগ ১৩ বলে ৩৪, ও হার্দিক পান্ডিয়া ১৮ বলে ৪৭ রান করেন।
বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম হাসান সাকিব ৪ ওভারে ৬৬ রানে তিনটি। এছাড়া তাসকিন ৪ ওভারে ৫১ রানে ১টি, মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৫২ রানে নেন একটি উইকেট। এছাড়া বিদায়ী ম্যাচে রিয়াদ ২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।