চিটাগং কিংসকে হারিয়ে বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। তবে বিপিএলে ব্যাট বলে চার-ছক্কা ভক্ত-সমর্থকদের বেশ নজর কেড়েছে। ২২ গজে রানের উত্তাপ থাকলেও মাঠের বাইরে কম বিশৃ্ঙ্খলাও হয়নি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক,অনুশীলন বর্জন, খেলা বর্জন এমনকি ম্যাচফিক্সিংয়ের গুঞ্জনও ছিল!
সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টির এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)র গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন,‘বিপিএলে টিকিট ব্যবস্থা ছিল সুশৃঙ্খল। অনলাইন টিকিট ব্যবস্থায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বেশিরভাগ টিকিটই সাধারণ মানুষ পাবে-অনলাইন টিকিট ব্যবস্থা এটা নিশ্চিত করেছে। যা আগেরবারের মতো নয়।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘বিপিএল সবসময়ই জনসাধারণকে আকর্ষণ করে। কিন্তু এবার অবিশ্বাস্য সাড়া ছিল! যা আমাদের জন্য সত্যিই সন্তুষ্টির। প্রতিটি ম্যাচেই স্টেডিয়াম জমজমাট ছিল। মাঠে প্রচুর দর্শকের উপস্থিতি এবং নিজ নিজ দলকে সমর্থন করেছে। আপনি যদি ফাইনাল খেলা দেখেন, টিকিটের প্রচুর চাহিদা ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেভাবে দিতে পারিনি। কারণ বিক্রির জন্য দেওয়ার সাথেই সাথেই টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।’
বিপিএলে আধিপত্য বিস্তার করেছে স্থানীয় খেলোয়াড়রা। ব্যাটিং-বোলিংয়ে তালিকায় শীর্ষে আছে তারা। আসরে সর্বোচ্চ ৫১১ রান সংগ্রাহক নাঈম শেখ। শীর্ষ দশের মধ্যে স্থানীয় ব্যাটারই ছিলেন নয়জন। যা বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম। একই সঙ্গে বিপিএলে সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। যা বিপিএলের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার।
আর শীর্ষ ১০ বোলারের মধ্যে, মাত্র তিনজন বিদেশী খেলোয়াড় আছেন। এ বিষয়ে ফাহিম বলেন,‘সব মিলিয়ে বিপিএল ভালো হয়েছে এবং আমরা যা চেয়েছিলাম ঠিক তেমনই হয়েছে। আশা করি, যা অনিয়ম হয়েছে আমরা ঠিক করতে পারবো এবং ভবিষ্যতে মান বজায় রাখতে পারবো।’