বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসর ঘিরে জমেছিল নানা বিতর্ক। একাধিক দলের বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের বকেয়া পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছিল, এমনকি কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি হোটেল বিল পর্যন্ত শোধ করেনি। এসব অনিয়মে সমালোচনার মুখে পড়ে টুর্নামেন্টের ভাবমূর্তি। তাই আগাম সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিসিবি, বিশেষ করে বোর্ড পরিচালক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
১২তম আসরে দল নিতে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২৮ অক্টোবর। এবারের আসরে যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দল পাবে, তাদের কমপক্ষে পরবর্তী পাঁচ আসরে অংশ নিতে হবে। পাশাপাশি ২০২৭ সাল থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি প্রতি বছর ১৫ শতাংশ করে বাড়তে থাকবে। ফলে আগামী পাঁচ বছরে মোট প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। এর পাশাপাশি প্রতি মৌসুম শুরুর আগে ছয় মাসের জন্য ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়াও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আসন্ন বিপিএলে নতুন একটি নিয়ম যোগ করেছে বোর্ড। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আয় থেকে বিসিবি পাবে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ। এমন শর্ত মেনে এবার মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান দল নিতে আগ্রহ দেখায়। এর মধ্যে রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আবেদন করেছে দুটি প্রতিষ্ঠান। তবে আগের ভুলের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এবার যাচাই-বাছাইয়ে কঠোর অবস্থানে বোর্ড।
গতকাল বিসিবি ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এই যাচাইয়ের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সভা শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠু জানান, “প্রাথমিকভাবে ১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টিকে শর্টলিস্ট করা হয়েছে। তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় তারা বাদ পড়েছে।”
শর্টলিস্ট থেকে বাদ পড়া তিন প্রতিষ্ঠান হলো মাইন্ড ট্রি, বাংলামার্ক ও এসকিউ। এর মধ্যে মাইন্ড ট্রি চেয়েছিল খুলনা, বাংলামার্ক নোয়াখালী এবং এসকিউ আবেদন করেছিল চিটাগং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য। তবে শর্টলিস্টে থাকা ৮ প্রতিষ্ঠানই যে চূড়ান্তভাবে দল পাবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বোর্ড সভা শেষে আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে কোন কোন কোম্পানি বিপিএলের ১২তম আসরে অংশ নিচ্ছে।
