বিপিএলের সর্বশেষ আসরে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের যাদের পারিশ্রমিক এখনো বকেয়া, সেই অর্থ পরিশোধের দায়িত্ব নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শনিবার (৯ আগস্ট) বোর্ড সভা শেষে পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
যদিও কোনো খেলোয়াড়ের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেননি, তবে চিটাগং কিংসের কোচ শন টেইটের পাওনা এবং দুর্বার রাজশাহীর হোটেল ভাড়া পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। বিসিবির কাছে লিখিতভাবে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে মধ্যস্থতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বোর্ড।
বিপিএল নিয়ে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ নতুন নয়। টুর্নামেন্টের ১০ মৌসুম জুড়েই সবচেয়ে আলোচিত সমস্যা—খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যু। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই বিষয় উঠে এসেছে। গত আসরেও বকেয়া পরিশোধ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়, যা নিয়ে এখনও বিসিবির কাছে চিঠি আসছে।
এবার বোর্ড নীতিগতভাবে ঠিক করেছে, গত আসরের টিকিট বিক্রির আয় থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রাপ্য অংশ ব্যবহার করে খেলোয়াড় ও কোচদের বকেয়া মেটানো হবে। পরে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছ থেকে এই অর্থ ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। ৯ই আগষ্ট বিসিবির সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য দেয়া হয়।
ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘গত বিপিএলে ড্রাফট থেকে নেওয়া খেলোয়াড়দের বেশিরভাগ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরাসরি সাইনিংয়ের খেলোয়াড়, কোচ এবং অন্যান্য খরচের জন্য এখনও চিঠি পাচ্ছি। বিষয়টি খুবই বিব্রতকর। আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে—কে কত টাকা পাবে এবং কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির কত বকেয়া আছে, তা আমরা শিগগিরই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানাবো।’
তিনি আরও জানান, চিটাগং কিংসের শন টেইটের পাওনা এবং রাজশাহীর খেলোয়াড়দের হোটেল ভাড়ার অর্থ বিসিবি সামঞ্জস্য করবে। ‘আমাদের সাবেক সভাপতি তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাই আমরা মনে করি এটা পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। সরাসরি সাইনিং ও অনুরূপ পেমেন্ট আমরা আমাদের হাতে থাকা অর্থ থেকে দেবো, পরে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের প্রাপ্য থেকে হিসাব কেটে নেবো।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















