বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট ৪। সমান ম্যাচে আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৩। পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় এখন আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে খেলার পথটা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় ব্যবধানে হারায় তাহলে আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যথায় আজকের ম্যাচ এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান সব উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করেছিল। জবাবে বৃষ্টির কারণে অস্ট্রেলিয়ার ১২.৫ ওভার ব্যাটিংয়ের পর খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আর খেলা মাঠে গড়াতে পারেনি। এ সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১০৯ রান।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টস জয়ের পর আফগানিস্তান আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুরুটা তাদের ভালো ছিল না। ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। তবে সেদিকুল্লাহ অতলের চমৎকার ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান এই ধাক্কা ভালোভাবে সামলে ওঠে। দ্বিতীয় উইকেটে ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে তিনি ৬৭ রানের জুটি গড়েন।
দুর্ভাগ্য সেদিকুল্লাহ’র। সম্ভাবনা তৈরি করেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। ৮৫ রানে থেমে যায় তার ইনিংসটি। ৯৫ বলে ছয়টি বাউন্ডারির পাশাপাশি তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
আজমাতুল্লাহ ওমরজাইও খেলেছেন চমৎকার এক ইনিংস। ৬৩ বলে করেছেন ৬৭ রান। একটি মাত্র বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। তবে পাঁচটি ওভার বাউন্ডারিতে সমৃদ্ধ করেছিলেন ইনিংসটি।
আফগানিস্তানের ইনিংসটি বড় হওয়ার পেছনে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে। অতিরিক্ত খাত থেকে আফগানদের ইনিংসে যোগ হয়েছে ৩৭ রান। ওয়াইড বল ছিল ১৭টি।
জবাবে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে অস্ট্রেলিয়া শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে। যদিও মাত্র ২০ রানে ওপেনার ম্যাথিউ শর্টকে হারিয়েছিল তারা, তারপরও নিজেদের কৌশল থেকে সরে দাঁড়ায়নি। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ট্রাভিস হেড ৪০ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ করেছিলেন ২২ বলে ১৯ রান। এ অবস্থায় বৃষ্টিতে খেলা পরিত্যক্ত হয়।
আফগানিস্তান: ২৭৩/১০ (সেদিকুল্লাহ ৮৫, আজমাতুল্লাহ ৬৭, ইব্রাহিম জাদরান ২২, হাসামাতুল্লাহ ২০, রশিদ খান ১৯ ও অতি: ৩৭)।
অস্ট্রেলিয়া: ১০৯/১ (১২.৫ ওভার)। (শর্ট ২০, হেড ৫৯* ও স্মিথ ১৯*; ওমরজাই ১/৪৩)।
ফল: ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত।