সতীর্থদের সবাই ছিলেন ব্যর্থতার তালিকায়। তার মাঝে উজ্জ্বল ছিলেন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। অধিনায়কোচিত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। দলীয় রান যেখানে ২২৩, সেখানে ব্রুকের একারই সংগ্রহ ১৩৫। তবে তার এই বীরোচিত ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত কোনো কাজে আসেনি। ৮০ বল হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৩৬.৪ ওভারে ৬ উইকেটে তারা ২২৪ রান করে। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
২২৪ রানের লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা যে স্বস্তিদায়ক ছিল তা নয়। মাউন্ট মানুগানুইতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ১২ রানের মধ্যে হারিয়েছিল জোড়া উইকেট। ২৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারালে শঙ্কাটা বেশ জোরালো হয়েীছল। তবে ড্যারিল মিচেলের চমৎকার ব্যাটিং সব শঙ্কা উড়িয়ে দেয়। তার পাশাপাশি মাইকেল ব্রেসওয়েল বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন। ৯১ বলে মিচেল ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। সাত বাউন্ডারির পাশাপাশি দুই ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।অন্যদিকে ৫১ বলে ব্রাসওয়েল করেন ৫১ রান। ছয়টি বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। ফলে শুরুর বিপর্যয় সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডকে জয় পেতে তেমন একটা কষ্ট করতে হয়নি।
এর আগে ইংল্যান্ড ব্যাট হাতে নেমে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়। ব্যাটারদের ব্যর্থতা বিষ্ময়ের পর বিষ্ময় জম্ম দেয়। ১০ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। এর মধ্যে জাকারি ফোকসের শিকার তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট নেন তিনি। ১০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর কিছুটা বিরতি যায়। তবে ৫৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর হ্যারি ব্রুক কিছু সময়ের সঙ্গী হিসেবে পান জেমি ওভারটনকে। সপ্তম উইকেটে তারা ৮৭ রানের জুটি গড়েন।
জেমি ওভারটন ৪৬ রানে আউট হলেও লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ব্রুক। ১০১ বলে তার সংগ্রহ ১৩৫ রান। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৯টি বাউন্ডিারর পাশাপাশি ১১টি ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে।
