চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এক ম্যাচ সব হারালো পাকিস্তান। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারের লজ্জায় ডোবা তো রয়েছেই। স্বাগতিক হয়েও সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে তাদের ছিটকে যাওয়াও নিশ্চিত হয়েছে। টানা দুই ম্যাচে হেরে পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। ঠিক বিপরীত অবস্থা ভারতের। টানা দুই ম্যাচ জয়ে সবার আগে সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছে ভারত। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আজ ভারত ৬ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানকে।
প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে পাকিস্তান ৪৯.৪ ওভারে ২৪১ রানে সব উইকেট হারায়। জবাবে ভারত বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ৪২.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।
টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে ভারতের বিপক্ষে এ ম্যাচে পাকিস্তানের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু পাকিস্তান জয় তো দূরের কথা কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। মূলত দ্বিতীয় উইকেটে শুবমান গিল বিরাট কোহলির ব্যাটিং পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। আর তৃতীয় উইকেটে কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়েরের ১১৪ রানের জুটি ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। যদিও আইয়ের শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে পারেননি, তবে ছিলেন বিরাট কোহলি। ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শ্রেয়াস আইয়ের ৫৬ রান করেন। তার আগে শুবমান গিল ৪৬ রানে আউট হন।
এর আগে পাকিস্তানের একমাত্র ব্যাটার সৌদ শাকিল কিছুটা ব্যাট হাতে সাফল্য দেখান। অন্যরা অনেকটাই ব্যর্থ ছিলেন। দলে আসা ইমাম উল হক, বাবর আজম সবাই ছিলেন ব্যর্থ। সৌদ শাকিল ৬২ রান করেন। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৬ রান করেন।
ভারতের মোহাম্মদ শামি ছাড়া অন্য সব বোলারই কম বেশি উইকেট শিকারের উৎসব করেছেন। কুলদ্বীপ যাদব তিন উইকেট নেন। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন সফল বোলার। দুই উইকেট শিকার তার। তবে তার বোলিংয়ে রান উৎসবও করেছে ভারতীয় ব্যাটাররা। ৮ ওভারে ৭৪ রান খরচ তার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২৪১/০ (৪৯.৪ ওভার) (সৌদ শাকিল ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৬, খুশদিল শাহ ৩৮, বাবর আজম ২৩; কুলদ্বীপ যাদব ৩/৪০, হার্দিক পান্ডিয়া ২/৩১)।
ভারত: ২৪৪/৪(৪২.৩ ওভার)। (বিরাট কোহলি ১০০*, শ্রেয়াস আইয়ের ৫৬, শুবমান গিল ৪৬; শাহিন শাহ আফ্রিদি ২/৭৪)।
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী।