চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন নিয়েই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তাই তো ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অধিনায়ক নামজুল হোসেন শান্ত।
তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ২ রানে শুন্য রানে বিদায় নেন সৌম্য ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিক ও মিরাজও। দলীয় ২৬ রানের মাথায় মিরাজ ফিরে যান ৫ রানে। এরপর মুশফিক শুন্য রানে ফিরে গেলে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম কাটা পড়েন ২৫ রান।
দলীয় ৩৫ রানে তখন ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের। এরপর ষষ্ঠ জুটিতে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিকের ইতিহাসগড়া জুটিতে ভর করে লড়াকু পুঁজি তুলে নেয় বাংলাদেশ। মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে তারা পৌঁছে দেন ২২৮ রানে।
আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ ১৫৪ রানের জুটি গড়ার পথে জাকের ও হৃদয় খেলেন নিজেদের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। এদিন জাকের ৬৮ রানে আউট হলেও ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়।
১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রান করেন হৃদয়। শেষদিকে পায়ে ক্র্যাম্প না করলে নিজের ব্যক্তিগত ইনিংস আরও বড় করার পাশাপাশি দলকেও হয়তো আড়াইশ রানে পৌঁছে দিতে পারতেন তিনি। বল হাতে ভারতের পক্ষে ৫৩ রান খরচ করে শামি ৫ উইকেট নেন। এছাড়া হার্শিত রানা ও অক্ষর প্যাটেল নেন দুটি করে উইকেট।
বাংলাদেশের দেওয়া ২২৯ রান তাড়ায় আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন রোহিত শর্মা। ২৬১ ইনিংসে ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা এ ব্যাটার দ্রুত গতিতে ছুটছিলেন ফিফটির পথে। তবে তার আগেই তাকে থামিয়ে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
৩৬ বলে ৭ চারে ৪১ রানে পয়েন্টে রিশাদের হাতে ক্যাচ দেন ভারত অধিনায়ক। যদিও আরেক প্রান্ত আগলে রেখে ক্রিজে শাসন করতে থাকেন অন্য ওপেনার শুভমান গিল। দলীয় ১১২ রানে ভারতের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন রিশাদ।
৩৮ বলে ২২ রান করে টাইগার লেগ স্পিনারের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন বিরাট কোহলি। আর চার ওভার পর উইকেটের দেখা পান মোস্তাফিজ। ইনিংসের ২৮তম ওভারে ফিজের বলে শান্তর তালুবন্দি শ্রেয়াস আইয়ার। ১৭ বলে ১৫ রানে থামে তার ইনিংস।
এরপর অক্ষর প্যাটলকে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরান রিশাদ। লড়াইটা আরও জমে উঠতো যদি ডিপ মিড উইকেটে লোকেশ রাহুলের ক্যাচটি জাকের না ছাড়তেন। ৩৬.২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান।
রাহুল তখন অপরাজিত ছিলেন ৯ রানে। নতুন জীবন পেয়ে অপরাজিত ৪১ রান করেন তিনি। অন্যদিকে ওপেনিংয়ে নামা শুভমান ১২৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে ৪৬.৩ ওভালে ৪ উইকেটে ২৩১ রান তুলে জয় তুলে নেয় ভারত।
ম্যাচ শেষে হারের কারণ হিসেবে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত বলেন,হৃদয় এবং জেকের যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা ছিল দুর্দান্ত। তবে আমরা মাঠে কয়েকটি ভুল করেছি, কয়েকটি ড্রপ ক্যাচ, একটি রান আউট। আমরা যদি সেই সুযোগগুলো নিতাম, তাহলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।