চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট লড়াই মানেই রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের উত্থান আর পাকিস্তানের পতনে ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে! রিজওয়ানের এই পাকিস্তান ভারতের ‘বি’ দলকে হারাতেও কাঠখড় পোড়াতে হবে বলে মনে করেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কার।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুবাইয়ে গত রোবরার পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত। ফলে টানা দুই জয়ে সেমিফাইনালে রোহিত শার্মার দল। আর দুই ম্যাচ হেরে নিজ দেশের আসর থেকে ছিটকে গেছে পাকিস্তান।
অর্থাত গত ১২ বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সবশেষ ২০ ম্যাচের ১৬টিই জিতেছে ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ম্যাচের পর স্পোর্টস টুডেকে গাভাস্কার বলেন,‘আমার মনে হয়, ভারতের ‘বি’ দল অবশ্যই (পাকিস্তানের ঘাম ছুটিয়ে ছেড়ে দেবে)… ‘সি’ দল পারবে কি না, খুব একটা নিশ্চিত নই। তবে পাকিস্তানের এই দলের এমন ফর্মে ভারতের ‘বি’ দলকে হারাতে খুব, খুবই কষ্ট হবে।’
অথচ একসময় চিত্রটা ছিল ভিন্ন। মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান ভারতের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্যন্তও চমকপ্রদ সব সহজাত প্রতিভাবান ক্রিকেটার উপহার দিয়েছে দেশটি। এ বিষয়ে তিনি বলেন,‘তাদের শক্তির গভীরতায় ঘাটতি হওয়াটা বিস্ময়কর। পাকিস্তানের সবসময়ই সহজাত প্রতিভা প্রচুর ছিল। সহজাত এই অর্থে যে, টেকনিক্যালি তারা হয়তো শুদ্ধ নয়, কিন্তু ব্যাট-বলের বোঝাপড়া তাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবেই গড়ে উঠত। ইনজামাম-উল-হাকের কথাই ভাবুন। তার যে স্টান্স, তরুণ কাউকে এমন কিছুর পরামর্শ কেউ দেবে না। কিন্তু তার টেম্পারামেন্ট ছিল অসাধারণ। সেটি দিয়েই টেকনিক্যাল ঘাটতি ঘুষিয়ে দিত সে।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘খুবই অবাক করার মতো ব্যাপার যে, পাকিস্তান থেকে এরকম প্রতিভা আর উঠে আসছে না। তাদের তো পাকিস্তান সুপার লিগ আছে! ভারত কীভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে এত তরুণ তারকা তুলে আনছে? আইপিএল দিয়েই তো! এখান থেকে ক্রিকেটাররা রাঞ্জি ট্রফিতে গেছে এবং এক পর্যায়ে জাতীয় দলে এসেছে। পাকিস্তান ক্রিকেটের এই বিশ্লেষণ করতে হবে। তাদের বের করতে হবে, একসময় তাদের এত বিকল্প ক্রিকেটার ছিল, এখন কেন নেই।’