প্রথম ইনিংসের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের চিত্রটা প্রায় এক রকম। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল এইডেন মার্করাম। তার লড়াকু ১০৬ রানের সুবাদে ভারতকে ৭৯ রানের টার্গেট দিতে সক্ষম হয়েছে প্রোটিয়ারা। লাঞ্চ ব্রেকের (মধ্যাহ্ন বিরতির) নির্ধারিত সময়ের আগেই গুটিয়ে যায় দলটার দ্বিতীয় ইনিংস।
একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার মার্করাম দলের অষ্টম ব্যাটার হিসেবে ১৬২ রানে আউট হওয়ার পর দলীয় সংগ্রহে আরও ১৪ রান এসেছে মূলত লুঙ্গি এনগিডি ও কাগিসো রাবাদার ব্যাটিংয়ে।
৩ উইকেটে ৬২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা ভারতীয় পেসে নাকাল হন। আগেরদিন তোপ দাগিয়েছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। এদিন চড়াও হন জসপ্রিত বুমরা। ৭ রানে ব্যাটিংয়ে নামা ডেভিড বেডিংহ্যাম মাত্র চার রান করেই বুমরার বলে উইকেটের পেছনে কেএল রাহুলের হাতে ধরা পড়েন। প্রথম ইনিংসে সিরাজের ছয় উইকেটের বিপরীতে বুমরা নিয়েছিলেন দুই উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম তিন উইকেটের একটা ছিলো বুমরার। এদিন নেন আরও পাঁচটা। একে একে ডানহাতি এই পেসার আউট করেন বেডিংহাম, কাইল ভেরেন্নে, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ ও লুঙ্গি এনগিডিকে।
বুমরার উইকেট তোলার উৎসবের মধ্যে মাথা উচিয়ে ব্যাটিংটা করছিলেন এইডেন মার্করাম। অবিচল এই ব্যাটার তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৭ নাম্বার সেঞ্চুরিটা। শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও আউট হলেন সিরাজের বলে।
৩২তম ওভারে এইডেনের আউট হওয়ার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিলো ১৬২। পরের ওভারেই অর্থাৎ ৩৩তম ওভারের প্রথম বলেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে ফেরেন দুই রান করা কাগিসো রাবাদা।
দশম উইকেটে ২৯ বলের পার্টনারশিপে দলীয় সংগ্রহে ১৪ রান যোগ করেন নান্দ্রে বারগার ও লুঙ্গি এনগিডি। নান্দ্রে যেখানে ২০ বলে ৬ রান করেন সেখানে লুঙ্গির ৮ রান এসেছে ১০ বলের মোকাবিলায়। শেষ পর্যন্ত বুমরার বলে আউট হলে ১৭৬ রানে শেষ হয় স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংস।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩














