নিলাম থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো মার্শাল

অ্যালেক্স মার্শাল

বিপিএলের ১২তম আসরের নিলাম হওয়ার আগেই সবচেয়ে আলোচিত সিদ্ধান্তগুলোর একটি ছিল গত আসরের ফিক্সিং সন্দেহে অভিযুক্ত সাত ক্রিকেটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। রোববার সম্পন্ন হওয়া নিলামের আগ মুহূর্তে এই নামগুলো সরিয়ে নেওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। বিসিবি জানিয়েছে, দুর্নীতিদমন বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শার এর সুপারিশেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নিলামের আগে মার্শাল ব্যাখ্যা দেন যে, আগের মৌসুম নিয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটির বিস্তৃত প্রতিবেদনে যেসব সমস্যা উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতেই নতুন করে ইন্টিগ্রিটি ইউনিট গঠন করা হয়। বিপিএলকে সামনে রেখে তিনি গভর্নিং কাউন্সিলকে এমন কয়েকজনকে নিয়ে সতর্ক করেন যাদের এ বছরের আসরে অন্তর্ভুক্ত না করাই নিরাপদ হবে। তার ভাষায়, চলমান তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর ঘটনাগুলো আবার পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের দূরে রাখাই বেশি দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সুরক্ষা দেওয়া এবং বিপিএলকে স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক ও সৎ রাখাই তাদের লক্ষ্য। দর্শক মাঠে বা টিভিতে যেখান থেকেই খেলা দেখুন, সবাই চান যেন প্রতিযোগিতার মান ও সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠে ,এটিই তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন।

বিসিবিতে পরামর্শক হিসেবে যোগ দেওয়া মার্শাল

পরে দুর্নীতিদমন বিভাগের প্রধান হন। তিনি মনে করিয়ে দেন যে খেলোয়াড়, কোচ, মালিক, ম্যানেজমেন্ট, বোর্ড সদস্য ,সবাই ইন্টিগ্রিটি কোডের আওতাভুক্ত। কোডে স্পষ্টভাবে বলা আছে কোন কাজ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তার শাস্তি কী। এই কোড কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে বলেই জানান তিনি।

মার্শাল সবাইকে এই কোড আবার পড়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেকোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তা পেশাদারিভাবে, নির্ভুলভাবে এবং পুরোপুরি গোপনীয়তা বজায় রেখে তদন্ত করা হবে। বর্তমান বা অতীত—যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া মাত্র সংশ্লিষ্টদের জানানো বাধ্যতামূলক।

তিনি আরও বলেন, অতীতে কিছু তরুণ ক্রিকেটার হয়তো চাপের মুখে সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় পড়েছিলেন। এখন তারা চাইলে নিরাপদভাবে তথ্য জানাতে পারবেন এবং সেই তথ্য সর্বোচ্চ সংবেদনশীলতা ও গোপনীয়তার সঙ্গে গ্রহণ করা হবে। কারণ বিপিএলকে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি আবারও অনৈতিক প্রভাব ফেলতে চাইতে পারে, আর সেই ঝুঁকি মোকাবেলায় সবাইকে মিলেই কাজ করতে হবে।

Exit mobile version