শেষ ওভারে জয়ের জন্য চিটাগং কিংসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ বোলার জেসন হোল্ডারকে বোলিং না দিয়ে খুলনার অধিনায় মিরাজ বল তুলে দেন মুশফিক হাসানের হাতে। কিন্তু সেই ম্যাচে শেষ বলে ৪ হজম করে খুলনা ছিটকে যায় বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে।
ফলে ফাইনালের সুযোগ হাত ছাড়া করে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন,‘হোল্ডার এর আগের ওভারে যে বোলিংটা করেছে ১৪ বলে ৩২ রান দরকার ছিল। তখন সে একটা চার, একটা ছয় খেয়েছে। ঐ ওভারেই ম্যাচটা থেকে আমরা ছিটকে যাই।’
একই সাথে শেষ ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজকে বল না দেওয়ার কারণ নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘শেষ ওভারে আপনি কীভাবে স্পিনার দিবেন, যেখানে পেস বোলার আছে। হোল্ডার আছে মুশফিক আছে। স্পিনার দেওয়া তো যৌক্তিক না। স্পিনার হলে অনেক সময় রান হয়ে যেতে পারে। পেস বোলিংই বেস্ট অপশন আমাদের জন্য।’
অন্যদিকে শেষ ওভারে হাসান মাহমুদকে দেওয়া যেত কি না এমন প্রশ্নে মিরাজ ,‘হোল্ডার যদি ২টা বল ভালো করত। ৬ আর ৪ যখন হয়ে গিয়েছে ১২ বলে লাগত ২২ রান। তখন কী করব? সেরা বোলারকে দিয়েই তো করাব। রান লাগত ২৮-৩০, আমি মুশফিককে দিয়েই করাতাম। যদি বেশি মারত ১৫ রান থাকত, হাসান এসে ডিফেন্ড করত। আমার কাছে আর অপশন ছিল না হাসান ছাড়া।’