ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। টেস্টের সেই আত্মবিশ্বাসটা ওয়ানডে সিরিজে দেখাতে পারলো না টাইগাররা। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে। সেন্ট কিটসে রোববার অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে স্বাগতিক দল। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ২৯৪ রান করেছিল। ১৪ বল বাকি থাকতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ রান টপকে জয় তুলে নেয়।
এ জয়ের ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের সীমানা থেকে রক্ষা পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচ হারের পর জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অর্থাৎ ছয় বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ানডেতে হারলো বাংলাদেশ।
ম্যাচে বাংলাদেশ শেরফেন রাদারফোর্ডের কাছে হেরে গেছে। বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে এই ব্যাটার একাই দলকে টেনে নিয়ে গেছেন। অথচ ব্যাট হাতে সাফল্য দেখানোর পর বল হাতেও বাংলাদেশ সঠিক লাইনে ছিল। বোলাররা ২৭ রানের মধ্যে জোড়া আঘাত হেনেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে। এক পর্যায়ে ৩ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ৯৪। তারপর অধিনায়ক শাই হোপ আর শেরফেন রাদারফোর্ডের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পের শুরু।
চতুর্থ উইকেটে জুটিতে তারা ৯৯ রান যোগ করেন। শাই হোপ ৮৮ বলে ৮৬ রান করে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে জাকের আলীর হাতে ধরা পড়েন। রাদারফোর্ডও বিদায় নিয়েছেন। সৌম্য সরকারের বলে নাহিদ রানার হাতে ধরা পড়ে যখন তিনি বিদায় নেন তখন নিরাপদ স্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে।
অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন রাদারফোর্ড। ৮০ বলে করেন ১১৩ রান। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি এটি তার। সাত বাউন্ডারি আর আর ওভার বাউন্ডারিতে রাঙিয়েছেন প্রথম সেঞ্চুরিটি।
ম্যাচে এটা কীর্তিও গড়েছেন রাদারফোর্ড। সেঞ্চুরির আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে টানা পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। চতুর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার হিসেবে এ কীর্তি দেখিয়েছেন তিনি। তার আগে গর্ডন গ্রীনিজ, ক্রিস গেইল ও শাই হোপ এমন সাফল্য দেখান।
এর আগে টস জিতে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে। ওপেনার তানজীদ হাসানের ৬০ রানের পাশাপাশি অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের ৭৪ রান, মাহমুদউল্লাহ’র ৫০ ও জাকের আলীর ৪৮ রানে বাংলাদেশ নির্ভরযোগ্য সংগ্রহ দাঁড় করায়। কিন্তু এক রাদারফোর্ডের ব্যাটিং তাদের হাসি কেড়ে নেয়।