রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে কাঁপছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার আগেই হারের শঙ্কা জেগে উঠেছিল তাদের সামনে। কিন্তু এখন সেই শঙ্কাটা পেয়ে বসেছে স্বাগতিক পাকিস্তানের সামনে। তৃতীয় দিন শেষে যদিও পাকিস্তান ২৩ রানে এগিয়ে তবে তাদের চারপাশ ঘেরে এখন হারের আতঙ্ক।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৩৩৩ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ রান করেছে। তবে এই রান করতে ৪ উইকেট হারিয়েছে। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান করে বেশ স্বস্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাকিস্তানকে এই শঙ্কায় ফেলার বড় কৃতিত্ব কাগিসো রাবাদার। তবে বল হাতে নয়, ব্যাট হাতে। প্রোটিয়াদের শেষ ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমে অবিশ্বাস্য সব কীর্তি করেছেন। একের পর এক বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে হতভম্ব হয়েছেন পাকিস্তানের বোলার ফিল্ডাররা। তার ব্যাটিং টি-টোয়েন্টিকে হার মানিয়েছে। ৬১ বলে করেছেন ৭১ রান। চারটি করে বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি তার ইনিংসে। টেস্ট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রান তো বটেই প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন।
৭ উইকেটে ২১০ রান করে যখন দক্ষিণ আফ্রিকা ধুকছিল ঠিক তখনই কাগিসো রাবাদা আর কেশব মহারাজ পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়নে। শেষে উইকেটে তারা ৯৮ রান করেন। মহারাজ ৩০ রান করেন।
এই ম্যাচে পাকিস্তানকে ভালো করতে হলে এখন ব্যাটারদের জ্বলে ওঠা ছাড়া উপায় নেই। স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৩ রান তাদের এখন। ক্রিজে আছেন দুই স্বীকৃত ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুই রান মেশিন। তবে সময়টা ভালো যাচ্ছেন তাদের। বাবর ৪৯ রানে অপরাজিত। চার ইনিংসে এটাই তার সর্বোচ্চ রান। রিজওয়ান অপরাজিত ১৬ রানে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















