প্রথম ম্যাচে নাটকীয়ভাবে শেষ ওভারে গিয়ে জয় হাতছাড়া, টার্গেটটাও ছিলো বড়। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১৬৫ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে লিটন-সৌম্যের ব্যাটে ৬৮ রানের পর তৃতীয় উইকেটে শান্ত-হৃদয়ের ব্যাটে ১১ বল ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় এখন টাইগারদের।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, প্রথম ম্যাচে মতো এদিনও টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। স্ট্রাইক বোলার শরিফুলপ্রথম ওভারে মেইডেন আদায় করে নেন। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই শূন্য রানে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরে যান আভিষ্কা ফার্নান্দো।
এরপর মাঠে আসা কামিন্দু মেন্ডিসকে সাথে নিয়ে ৪৪ বলে ৬৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার কুশাল মেন্ডিস।
ইনিংসের নবম ওভারে কুশাল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন পার্টটাইম পেসার সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৩৬ রান করেন কুশাল মেন্ডিস। এরপরের ওভারেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন কামিন্দু মেন্ডিস।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে সাজঘরে ফেরান পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ১১ বলে ৭ রান করে আউট হন তিনি।
১৪ বলে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে মাহেদি হাসানের বলে আউট হন অধিনায়ক চারিথ আসালাংকা।
শেষ দিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের ২১ বলে অপরাজিত ৩২ ও দাসুন শানাকার ১৮ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে শ্রীলঙ্কা।
জবাবে খেলতে নামা লিটন ও সৌম্যের উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় টাইগাররা। দলীয় ৬৮ রানে ২২ বলে ২৬ রান করা সৌম্য সরকার আউট হওয়ার দলীয় ৮৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে লিটন দাস বিদায় নিলে অধিনায়ক শান্তর সাথে যোগ দেন তাওহীদ হৃদয়।
অবিচ্ছিন্ন থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন শান্ত ও হৃদয়। ৩৮ বলে চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংস আসে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাটে। আর হৃদয়ের ব্যাটে এসেছে ২৫ বলে অপরাজিত ৩২ রান। যাতে ছিলো দুই চার ও এক ছক্কার মার।