দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লে প্রথমে বল হাতে পরে ব্যাট হাতে চমক দেখিয়েছেন পাকিস্তান সালমান আগা। আর তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে নাটকীয় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ২৩৯ রানের জবাবে পাকিস্তান ৩ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে জয় পেয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রণে বল হাতে নেমে পাকিস্তানের পেসাররা মোটেও সুবিধা করতে পারেননি। তাই তো অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান বল তুলে দিয়েছিলেন সালমান আগার হাতে। বল হাতে নিয়েই একের পর এক চমক দেখান। দ্রুত ৪ উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষের রানের চাকাকে থামিয়ে দেন। যেখানে এক পর্যায়ে প্রোটিয়াদের রান বিনা উইকেটে ৭০ ছিল সেখানে সালমান বল হাতে নেওয়ার পর তা দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৮৮ রান।
উইকেট পতনের বৃষ্টির মধ্যে একপ্রান্তে আগলে দাঁড়ান হেনরিখ ক্লাসেন। ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন। তার এমন ইনিংসে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ভদ্রস্থ এক রান দাঁড় করায়।
জবাবে ব্যাট হাতে নিয়েই বিপদের মুখে পড়ে পাকিস্তান। হারটা তাদের অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। অবশ্য একপ্রান্তে সাইম আইয়ুব ছিলের পাহাড়ের মতো অটল। আব্দুল্লাহ শফিক (০), বাবর আজম (২৩), মোহাম্মদ রিজওয়অন (১) ও কামরান গুলামের (৪) আউটে ধুকছিল পাকিস্তান। ঠিক সে সময়ে আবার সালমান আগা এগিয়ে আসেন। সাইম আইয়ুবের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৪১ রানের জুটি বেঁধে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। আইয়ুব ১১৯ বলে ১০৯ রান করেন। সালমান ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন।
সালমান-আইয়ুবের এমন জুটির পরও পাকিস্তানের হারের আশঙ্কা জোরালো হয়ে পড়েছিল। কেননা মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে তারা ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদ ডেকে এনেছিল। কিন্তু সালমান ও নাসিম শাহ দারুণভাবে দলকে জয় এনে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৩৯/৯ (৫০ ওভার)। (ক্লাসেন ৮৬, রিকেলটন ৩৬, মার্করাম ৩৫; সালমান ৪/৩২, আবরার ২/৩২)
পাকিস্তান: ২৪২/৭(৪৯.৩ ওভার)। (আইয়ুব ১০৯, সালমান ৮২*, বাবর ২৩; বার্টম্যান ২/৩৭, রাবাদা ২/৪৮)
ফল: পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আগা সালমান।