কিংস্টন টেস্টের প্রথম দিনে একের পর এক ক্যাচ ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তা সত্ত্বেও বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে মাত্র দুই উইকেটের দেখা পেয়েছিল স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিনে আর সে ভুল করেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। আর তাতেই নাজুক অবস্থা বাংলাদেশের। ২ উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অল আউট। জবাবে দিন শেষে স্বাগতিক দল ১ উইকেট হারিয়ে করেছে ৭০ রান। ফলে বাংলাদেশ এখন ৯৪ রানে এগিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশের মূল সর্বনাশটা করেছেন সিলস। অসাধারণ বোলিং করেছেন তিনি। ১৫.৫ ওভার বোলিংয়ে ১০টি মেডেন। রান দিয়েছেন মাত্র ৫, আর উইকেট শিকার করেছেন চারটি। ১৯৭৭ সালের পর টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে ইকোনোমিকাল বোলিং (নূন্যতম ৬০ বল) এটি।
বাংলাদেশের সর্বনাশের পথটা উম্মুক্ত করেছিলেন শামার জোসেফ। অথচ দিনের শুরুটা ভালো ছিল। ৬৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে ভালোভাবে ৮৩ রান পৌঁছে গিয়েছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার সাদমান ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন। কিন্তু মাত্র ৩৪ বলের ব্যবধান ৮৩/২ থেকে বাংলাদেশের অবস্থা ৯৮/৬ হয়ে যায়। শামার জোসেফ ও সিলস বাংলাদেশকে এমন ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেন। সিলস ৪ উইকেট নিয়েছেন। জোসেফের শিকার ছিল ৩ উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন সাদমান ইসলাম। ৬৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৬ রান করেন।
আজ তৃতীয় দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্যাট হাতে নামবেন অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাথওয়েট ও কেসি কার্টি। ৩৩ ও ১৯ রানে অপরাজিত তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারানো উইকেটটি নিয়েছেন নাহিদ রানা।