সুপার ওভারের নাটকীয়তায় জয়, অপরাজিত থেকে ফাইনালে ভারত

ইতিমধ্যেই দুই ফাইনালিস্ট ঠিক হয়ে যাওয়ায় এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটিকে অনেকেই ভেবেছিলেন কেবল নিয়মরক্ষার লড়াই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা রূপ নিল টানটান নাটকে। নির্ধারিত ওভারে ফল না মেলায় গড়াল সুপার ওভারে, যেখানে জিতে অপরাজিত অবস্থায় ফাইনালে জায়গা করে নিল ভারত।

ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব মজা করে বললেন, ‘মনে হচ্ছে যেন ফাইনাল খেলে উঠলাম।’ তিনি জানান, সতীর্থদের তিনি ম্যাচটা সেমিফাইনালের মতো ভেবে খেলতে বলেছিলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথমভাগেই সবাই যে মানসিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে তা দারুণ। আমি ওদের বলেছিলাম, সেমিফাইনাল ভেবে নামো। একসঙ্গে চেষ্টা করো, তারপর যা হওয়ার হবে। শেষ পর্যন্ত জিতে খুব ভালো লাগছে।’

সুপার ওভারে বল হাতে দায়িত্ব পান আর্শদীপ সিং। নির্ভুল বোলিংয়ে মাত্র পাঁচ বলে দেন দু’রান, নেন দুই উইকেটও। অধিনায়ক সূর্য তাঁর প্রশংসায় ভাসালেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে এর আগেও বহুবার দলকে জিতিয়েছে আর্শদীপ। আমি শুধু বলেছিলাম নিজের পরিকল্পনায় ভরসা রাখতে। আইপিএল হোক বা ভারতের হয়ে খেলা—সে বারবার প্রমাণ করেছে চাপের মুহূর্তে কতটা কার্যকর। শেষ ওভারে ওর হাতেই বল দেওয়াটা আমার কাছে সহজ সিদ্ধান্ত ছিল।’

এই আসরে গ্রুপপর্বে টানা তিন জয়ে দারুণ শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সুপার ফোরে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে পড়ে তারা। তবে ভারতের বিপক্ষে লড়াইটা জমিয়ে দিয়েছে তাদের ব্যাটিং।

ভারতের দিক থেকেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন সূর্যকুমার। তিনি বলেন, ‘আমাদের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। সঞ্জু আর অভিষেক যে ব্যাটিং করেছে, রানের গতি ধরে রেখেছে—তা অসাধারণ। সঞ্জু এখন আর ওপেন করে না, মিডল অর্ডারে নেমেও দারুণ দায়িত্ব নিয়েছে। তিলকের মধ্যেও আমি সেই আত্মবিশ্বাস দেখতে পাচ্ছি।’

ফাইনালের আগে বিশেষ কোনো প্রস্তুতি নেবে না ভারত। সূর্য জানালেন, ‘এখন ফাইনাল নিয়ে ভাবছি না। কয়েকজনের পেশিতে টান আছে। আমরা কাল পুরো বিশ্রাম নেব। চাইব ফ্রেশ হয়ে ফাইনালে নামতে।’

অধিনায়ক তাঁর দলকে একটাই বার্তা দিয়েছেন—ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। ‘আমি চেয়েছিলাম সবাই যেন স্পষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে নামে, কোনো ভয় ছাড়াই খেলে। ওরা সেটাই করেছে। ফাইনালে পৌঁছাতে পেরে আনন্দ লাগছে।’

Exit mobile version