প্রথম দুই ম্যাচে হেরে বিধ্বস্ত পাকিস্তান। প্রথম দুুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে ওপেনার হাসান নাওয়াজের অবস্থা আরো নাজুক। দল থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা। কিন্তু অধিনায়ক তার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। তৃতীয় ম্যাচে সে আস্থার জবাবটা ভালোভাবেই দিয়েছেন এই ওপেনার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছেন। অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছেন। তার ১০৫ রানে ভর করে পাকিস্তান তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটে জয় পেয়েছে। এ জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সফরকারী দল। তৃতীয় ম্যাচ শেষে এখন সিরিজের অবস্থা নিউজিল্যান্ড ২, পাকিস্তান ১।
অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে পাকিস্তান জয় পেতে পারে এমনটা কেউ কল্পনাতেও আনেনি। বিশেষ করে আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড যখন ২০৪ রান করেছিল তখনই অনেকেই পাকিস্তানের হার দেখতে পাচ্ছিল। মার্ক চাপম্যানের ৯৪ রানে নিউজিল্যান্ড এমন বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়েছিল।
এদিন অবশ্য পাকিস্তানের বোলাররাও অনেকটা ভালো করেছে। নিউজিল্যান্ডকে দুইশ রানের নিচে বেঁধে রাখতে ব্যর্থ হলেও উইকেটের দেখা পেয়েছে বোলাররা। শাহীন শাহ আফ্রিদি, আব্বাস আফ্রিদি ও আবরার আহমেদ দুটো করে উইকেট পান। হারিস রউফ ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার। তিন উইকেট শিকার তার।
২০৫ রানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাকিস্তানের জন্য ভয়ঙ্কর এক লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বিশেষ করে প্রথম দুই ম্যাচে তাদের ব্যাটিং এমনটাই প্রমাণ দিচ্ছিল। কিন্তু মোহাম্মদ হারিস ও হাসান নাওয়াজ এদিন সব আশঙ্কা উড়িয়ে দেন। উভয়ে একের পর এক বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। কখনো মাটি ঘেষে কখনো বাতাসে ভাসিয়ে। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান ১৬ ওভারে জয় তুলে নেয়। প্রথম উইকেটে তাদের সংগ্রহ ছিল ৭৪ রান। মোহাম্মদ হারিস ৪১ রানে আউট হলেও পরের পথটুকু হাসান নাওয়াজ ও সালমান আগা পার করেন। ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন হাসান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। তিন ম্যাচের আগের দুই ম্যাচে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। ১০টি বাউন্ডারি ও সাতটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজিয়েছিলেন তিনি ইনিংসটি। সালমান ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















