তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে লিটন দাসের স্কোর যথাক্রমে ২, ৪ ও ০। ব্যাটিংয়ে অধারাবাহিকতার বৃত্তে আটকে পড়া বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক তৃতীয় ম্যাচেও উইকেট দিয়েছেন বাজে শট খেলে। পেসার আলজারি জোসেফের আউটসাইড অফের বল খোঁচা মেরে স্লিপে ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে বন্দী হয়ে ফিরেছেন। উইকেটে টিকেছিলেন মাত্র ২ বল। তার বিদায়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ বেড়েছে। এর আগে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন তানজিদ হাসান তামিম। বাংলাদেশ ওপেনারও ফিরেছেন ডাক মেরে। এরপর প্রতিরোধ গড়ে সৌম্য হাফ সেঞ্চুরির পর (৭৩) আউট হলে প্যাুভিলিয়নে ফিরেছেন মিরাজও (৭৭ রান)।
আরেক ওপেনার তানজিম তামিমের মতো ডাক মেরে ফিরতে পারতেন সৌম্য সরকারও। আলজারি জোসেফের করা ইনিংসের চতুর্থ বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্লিপে হাতের মুঠোয় থাকা সেই সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন কিং। আলজারি সেই উইকেট না পেলেও তৃতীয় ওভারে করেন জোড়া শিকার।
হোয়াইওয়াশ এড়াতে এই ম্যাচ জিততেই হবে বাংলাশেকে। হারলে ২০১৪ সালের পর উইন্ডিজের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। এমন সমীকরণে তাসকিন ফিরেছেন। প্রথমবারের মতো খেলছেন নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। নাহিদ রানা, তানজিম সাকিব ও শরিফুল বিশ্রামে।
টানা তিন ম্যাচে টস জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিবারই বেছে নিয়েছেন বোলিং। টস হেরে, ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানেই ওপেনার সৌম্য জীবন পেলেও তানজিদ ও লিটন রানের খাতা না খুলেই ফিরেছেন। দুই উইকেট হারানোর পর সেখান থেকেই লড়াই শুরু করেন সৌম্য ও মিরাজ।
ইনিংসের ২০তম ওভারে তিনটি মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। গুড়াকেশ মতির করা ওভারের প্রথম মিরাজ নিয়েছেন সিঙ্গেল, বাংলাদেশ দলের রান পৌঁছেছে ১০০-তে। চতুর্থ বলে চার মেরে পঞ্চাশে পৌঁছেছেন মিরাজ। এই সিরিজে এটি তার দ্বিতীয়। আর শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১৩তম ফিফটিতে পৌঁছেছেন সৌম্য । মতির বলেই শেষ পর্যন্ত এলবি হয়ে ফিরলেন ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৭৩ বলে ৭৩ রান করে সৌম্য। সেই সাথে ভাঙল ১৩৬ রানের মিরাজ-সৌম্যর জুটি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২ ওভারে ১৭২ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের। ৬৬ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন অধিনায়ক মিরাজ। তার সাথে যোগ দেয়া আফিফ হোসেন এখনো রানের খাতা খুলতে পারেনি। আলজারি জোসেফ ২টি ও মতি নেন একটি উইকেট।