স্পিনারদের ভেলকি দেখলো মুলতান টেস্ট। আর তাতেই ম্যাচ কুয়াশার আর আলোর স্বল্পতার তৃতীয় দিনে গড়ালেও ওভারের হিসেবে দুই দিনও খেলা হয়নি। তার আগেই মুলতান টেস্টের নিষ্পত্তি হয়েছে। স্বাগতিক পাকিস্তান ১২৭ রানে জয় পেয়েছে। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
মুলতানের পিচে যে স্পিনাররা রাজত্ব করবে তা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল পাকিস্তান। দল ঘোষণায় নির্বাচকরা পেসারদের না রেখে দলে ভিড়িয়েছিল স্পিনারদের। তাদের ওপর ওভর করেই পাকিস্তান জিতে নিয়েছে মুলতান টেস্ট। তিন স্পিনার সাজিদ খান, নোমান আলী ও আবরার আহমেদ মিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ উইকেট তুলে নিেছেন। সাজিদ খানের শিকার সংখ্যা ৯ (৪+৫), নোমান আলী ৬ (৫+১) ও আবরার আহমেদ ৫ (১+৪) উইকেট শিকার করেন। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোমেল ওয়ারিকান। ১০ (৩+৭) উইকেট নিয়েছেন তিনি।
আজ ম্যাচের তৃতীয় দিনে পাকিস্তান ৩ উইকেট ১০৯ রান নিয়ে শুরু করেছিল। জোমেল ওয়ারিকানের চমৎকার বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি পাকিস্তান। ১৫৭ রানে শেষ হয়ে পাকিস্তানের ইনিংস। মাত্র ৪৮ রানে পাকিস্তান আজ ৭ উইকেট হারায়। ওয়ারিকান ৩২ রানে নেন ৭ উইকেট।
২৫১ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। প্রথম উইকেটে ১৬ রানের জুটি ছিল তাদের। তবে পাকিস্তান বোলারদের কিছুটা হলেও দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছিলেন অ্যালিক অ্যাথাঞ্জে। ৫৫ রান করেন তিনি। উইকেট পতনের ম্যাচে মাত্র ৬৮ বলে তিনি এ রান করেন।
কুয়াশার কারণে প্রথম দিন খুব বেশি সময় খেলা হয়নি। সেদিন পাকিস্তান ৪ উইকেট হারিয়েছিল। পরের দিন পাকিস্তান বাকি উইকেট হারিয়ে বসে। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজও অল আউট হয়। পাশাপাশি পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে আরো তিন উইকেট হারিয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই সাজিদ খান ম্যাচ সেরা হয়েছেন।