চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে ২২৯ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে হৃদয় ও জাকের আলীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সব উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তোলে বাংলাদেশ। আর ভারতের বিপক্ষে দলের বিপদের দিনে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন তাওহিদ হৃদয়। এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ শামির বলে শুণ্য রানে রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শুন্য রানে হার্ষিত রানার বলে কোহলির তালুবন্দি হন। দলীয় ২৬ রানের মাথায় শামির বলে গিলের তালুবন্দি হন মিরাজ। ১০ বলে ৫ রান করেন তিনি।
তবে ভালো শুরুর পর ইনিংসের নবম ওভারে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম। একই ওভারের পরের বলে শুণ্য রানে বিদায় নেন মুশফিক। ফলে ৮.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারায়।
এরপর জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড গুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয়। তবে শামির স্লোয়ারে ভাঙল ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৫৪ রানের জুটি। ২০৬ বল মোকাবেলা করেন তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ১৫০ রানের জুটিতে আগের রেকর্ড গড়েছিলেন জাকের।
জাকের ১১৪ বল মোকাবেলা করে চার বাউন্ডারিতে ৬৮ রান করে বিদায় নেন শামির বলে। ৪২.৪ ওভারে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ১৮৯। এরপর রিশাদ হোসেন বড় স্কোরের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ১২ বলে এক বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ১৮ রান করে রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
এরপর শেষ দিকে তাসকিনকে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। ১১৪ বলে ছয় বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পান হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ১১৮ বলে ছয় বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ১০০ রান করে শেষ দিকে রানার বলে শামির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয়। ফলে ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বল হাতে ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামি ১০ ওভারে ৫৩ রানে নেন ৫ উইকেট। এছাড়া রানা ও প্যাটেল নেন দুটি করে উইকেট। এর আগে বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।