জিতলে সেমির আশা বেঁচে থাকবে আর হারলেই বিদায়! এমন কঠিন সমিকরণের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
ফলে টানা দুই জয়ে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে সেমিফাইনালে কিউইরা। অন্যদিকে টানা দুই হারে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বিদায়। বাংলাদেশের দেওয়া ২৩৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে রাচিন রাবিন্দ্রের সেঞ্চুরিতে ৪৬.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।
বাঁচা মরার লড়াইয়ে পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের টস হেরে ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু করে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও নামজুল হোসেন শান্ত। ওপেনিং জুটিতে তারা ৫০ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু এরপর মাইকেল ব্রেসওয়েলের বোলিং তোপে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশের টপঅর্ডার। ইনিংসের নবম ওভারে ব্যক্তিগত ২৪ রান করে ব্রেসওয়েলের বলে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন।
এরপর একে একে ব্যর্থ মিরাজ ১৩, তাওহিদ হৃদয় ৭, মুশফিক ২ ও মাহমুদউল্লাহ ২ রানে। ২৬.১ ওভারে বাংলাদেশের রান তখন ৫ উইকেটে ১১৮ রান। দলের বিপদে শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জাকের আলী।
এ জুটিতে ৬৭ বলে ৪৫ রান তোলে তারা। এরপর শান্তকে বিদায় করেন রুর্কে। ১১০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৭৭ রান করে ক্যাচ আউট শান্ত। শেষ দিকে জাকের আলী ও রিশাদের জুটি কিছুটা আশা জাগায়। তিন্তু তাদের ৩৩ রানের জুটি ভাঙে হেনরি। রিশাদ ২৫ বলে দুই বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২৬ রান করে ক্যাচ দেন স্যান্টনার হাতে।
৪৩.১ ওভারে ৭ উইকেটে রান তখন ১৯৬। এরপর তাসকিনকে নিয়ে ৩০ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন জাকের। কিন্তু দলীয় ২৩১ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন জাকের। ৫৫ বলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি। এছাড়া তাসকিনে ব্যাটে আটে ১০ রান। ফলে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৬ রানে থামে বাংলাদেশ। বল হাতে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে মাইকেল ব্রেসওয়েল ১০ ওভারে ২৬ রানে চার উইকেট। ও উইল ওরুর্ক ১০ ওভারে ৪৮ রানে নেন দুটি উইকেট।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৩৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিন-নাহিদ রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলীয় ১৫ রানে দুই উইকেট হারায় কিউইরা। ভয়ঙ্কর ওপেনার ইউল ইয়ান তাসকিনের প্রথম ওভারেই শুণ্য রানে বোল্ড এবং পেসার রানা ফেরান কেন উইলিয়ামসনকে ৫ রানে।
কিন্তু তৃতীয় উইকেট ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ডেভন কনওয়েকে নিয়ে শক্ত জুটি গড়েন রাচিন রবীন্দ্র। অবশেষে এ জুটি ভাঙে মোস্তাফিজ। দলীয় ৭২ রানের মাথায় ফিজের বলে ৩০ রান করে বোল্ড। তবে রাচিন এবার টম লাথামকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যান।
দলীয় ২০১ রানে ল্যাথাম ৫৫ রান করে রান আউট হলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন রাচিন। ১০৫ বলে ১২ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১১২ রান করে ফেরেন। শেষ দিকে মাইকেল ব্রেসওয়েল ১১ ও গ্লেন ফিলিপস ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে তাসকিন,রানা,ফিজ ও রিশাদ একটি করে উইকেট নেন।