কেপটাউন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রান পাহাড়ের নিচে পড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা পাকিস্তানের। স্বাগতিকদের ৬১৫ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯৪ রানে অল আউট। এমন অবস্থায় আশাবাদী হওয়ার কিছু থাকার কথা নয়। তবে হারের আগে হারেনি পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করছে দলটি। অধিনায়ক শন মাসুদের সেঞ্চুরিতে এক উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে পাকিস্তান। চতুর্থ দিন খেলা শুরুর আগে তারা ২০৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে।
প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেও হারের শঙ্কায় পাকিস্তান। তবে এরই মধ্যে একটা কীর্তি গড়েছে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনিং জুটিতে ২০৫ রান করেছে দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটিতে এটা সর্বোচ্চ রান। শন মাসুদ ও বাবর আজম এই রান করেন। ৮১ রানে আউট হয়েছেন বাবর আজম। ১০২ রানে অপরাজিত শন মাসুদ। গত ৯ ইনিংসে শন মাসুদ এই প্রথমবারের মতো তার ইনিংসটি ৩০ রানের বেশি করার সুযোগ পেয়েছেন। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক। এই শতকের মাঝ দিয়ে মাসুদ একটা কীর্তিও গড়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনো পাকিস্তানী অধিনায়ক টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।
পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯৪ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর প্রোটিয়া পেসারদের চোখ চকচক করছিল। ফলো অনে পড়া দলটিকে আবার উড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু এ ইনিংসে কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেন শুধু সম্ভাবনা তৈরি করতে পেরেছেন কিন্তু তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি। শন মাসুদ ১৮ রানে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু থার্ড স্লিপ দিয়ে বল বাইরে চলে যায়।
পরিবর্তিত বোলাররা এসেও পাকিস্তানের দুই ওপেনারের জন্যও তেমন কোনো আতঙ্ক তৈরি করতে পারেননি। এর মাঝে শন মাসুদ ও বাবর ফিফটিতে পৌঁছে যান। বাবর একই দিনে দুইবার হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পান। দিনের শুরুতে প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে দিনের শেষ দিকে আবার হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। এ নিয়ে টানা তিন ইনিংসে তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
পাকিস্তানের পক্ষে এ ম্যাচে হার এড়ানো একটু কঠিনই বটে। কেননা এখনো ম্যাচের দুইদিন বাকি। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারালেও মূলত তাদের অক্ষত উইকেটের সংখ্যা ৮। সাইম আইয়ুব এ ইনিংসে ব্যাট করতে পারবেন নাা। প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিংয়ের সময় আহত হওয়া আইয়ুবের পায়ে চিড় ধরেছে। চিকিৎসার জন্য তিনি ইংল্যান্ড যাচ্ছেন।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















