বিশ্বকাপ দলেই থাকার কথা ছিলো না। আবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়েই নামার সুযোগ হয়নি। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশেই ছিলেন না। সেই মাহমুদউল্লাই এখন দলের বিপর্যয়ে ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ব্যাটিং অর্ডার এগিয়ে আনা হচ্ছে। তবে সুযোগ পাওয়ার পরও ইনিংস লম্বা না করতে পারার আক্ষেপ নিশ্চয়ই তাকে পোড়াবে।
এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চার নাম্বারে নেমে লিটনের সাথে ৭৯ রানের জুটি গড়লেন। লিটনের বিদায়ের পর উইকেটে আসা সাকিব আল হাসানের সাথে অবশ্য ইনিংসটা লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে লিটন আউট হওয়ার সময়ে মাহমুদউল্লাহ ৪৬ রানে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন। কিন্তু অধিনায়কের সাথে জুটিটা লম্বা করতে পারেন নি। মাত্র ১০ রান যোগ করে শাহিন আফ্রিদির বলে বোল্ড আউট হয়ে ফিরলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলের বিপর্যয়ে হাল ধরার সুযোগ পেয়ে ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। করেছিলেন বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। তার চার ওয়ানডে সেঞ্চুরির সবগুলোই আইসিসি টুর্নামেন্টে করা। ২৮ অক্টোবর ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে লজ্জার হারের ম্যাচে সুযোগ থাকার পরও ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেন নি। মাত্র ২০ রানেই ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেছিলেন।
গুঞ্জন আছে আইসিসি বিশ্বকাপের পরই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় বলবেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ক্রিকেট থেকে বাদ পড়ার পর সাদা পোষাকের ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। কিন্তু সেঞ্চুরি করে সিরিজের মাঝপথেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন। এবারও সেরকম কিছুই হতে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। তার আগে এই বিশ্বকাপেই আরও দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। এর একটি ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
