অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টেস্ট খেলতে বাংলাদেশের অপেক্ষা প্রায় দুই দশকেরও বেশি। সেই অপেক্ষা শেষে ২০২৬ সালের আগস্টে আবারও টেস্ট ম্যাচে নামবে লাল সবুজ জার্সির দল। তবে এবার ভেন্যুর তালিকায় নেই মেলবোর্ন বা অ্যাডিলেড। গ্রীষ্ম শুরুর আগেই সিরিজ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া নতুন মাঠের কথা ভাবছে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইট জানায়, বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে দেশটির ১২তম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে কুইন্সল্যান্ডের ম্যাকাইয়ে অবস্থিত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনা অভিষেকের জন্য এগিয়ে রয়েছে।
২০২৬-২৭ মৌসুম অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের জন্য কিছুটা ব্যতিক্রম। নিয়মিত গ্রীষ্মকালীন সূচিতে প্রধান ভেন্যুগুলোতে মাত্র চারটি টেস্ট রাখা হয়েছে। এর ফলে ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমের পর প্রথমবার ব্রিসবেনের গ্যাবায় কোনো টেস্ট হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার ডেভিড ক্রিসাফুলি নিশ্চিত করেছেন যে তার রাজ্য একটি টেস্ট ম্যাচ পাচ্ছে। তিনি বলেছেন, “আমরা একটি টেস্ট পাব, সেটা হবে ম্যাকাইয়ে, বাংলাদেশের বিপক্ষে।” দেশের উত্তরাঞ্চলে সারা বছরই তুলনামূলক উষ্ণ আবহাওয়া থাকায় সিএ একাধিক বিকল্প বিবেচনা করছে।
দুই ম্যাচের সিরিজ হলেও কোনও ভেন্যুই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ম্যাকাইয়ের পাশাপাশি কেয়ার্নস, ডারউইন এবং টাউনসভিলের নামও আলোচনায় রয়েছে। ডারউইনে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছেন ক্রিকেট নর্দার্ন টেরিটরির প্রধান নির্বাহী। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বাংলাদেশ কেয়ার্নস এবং ডারউইনে খেলেছিল।
ম্যাকাইয়ের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অ্যারেনা ইতোমধ্যে ১০ হাজার আসনের গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, সম্প্রচার সুবিধা ও ট্রেনিং ব্যবস্থার জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ২ কোটি ডলার তহবিল পেয়েছে। এখানে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ হয়েছে এবং অতীতেও অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ড নারী দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করেছে এই মাঠ।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















