অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজ মানেই রোমাঞ্চ, আগ্রহ আর উন্মাদনার ছোঁয়া। এবারও ব্যতিক্রম নয়—সিরিজ শুরুর অনেক আগেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশের ক্রিকেটভক্তদের মাঝে। তবে সেই উত্তেজনায় খানিকটা ধাক্কা লেগেছে এক ঘোষণায়—অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে খেলছেন না অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
আগামী ২১ নভেম্বর পার্থে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের মর্যাদাপূর্ণ এই সিরিজ। পিঠের ইনজুরির কারণে প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন কামিন্স। তার অনুপস্থিতিতে অজিদের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর থেকে, সেই ম্যাচ দিয়েই কামিন্সের ফেরার আশা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
৩২ বছর বয়সী এই তারকা পেসারকে ঘিরে গত এক মাস ধরেই শঙ্কা ঘুরছিল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ক্রিকেট মহলে। সেপ্টেম্বরে পিঠের নিচের দিকে ব্যথা ফিরে আসার পর থেকে আর বোলিংয়ে নামেননি তিনি। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে চোটটা প্রথম ধরা পড়ে। সিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,
“আমরা আশাবাদী, খুব শিগগিরই কামিন্স বোলিংয়ে ফিরবেন।”
পিঠের ইনজুরি যেন ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কামিন্সের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। এই ইনজুরির কারণেই টেস্ট অভিষেকের পর টানা প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর তিনি দীর্ঘ সংস্করণে খেলতে পারেননি। তবু ফিটনেসে নিজেকে সবসময় উচ্চমানেই রেখেছেন এই পেসার।
তার অনুপস্থিতিতে টেস্টে দায়িত্ব নেওয়া স্টিভেন স্মিথ ‘প্রক্সি’ অধিনায়ক হিসেবে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০২১–২২ মৌসুমের অ্যাশেজে কামিন্স কোভিডে আক্রান্ত হলে তার নেতৃত্বে জয় আসে এক ম্যাচে।
কামিন্স না থাকলে দলে জায়গা পেতে পারেন স্কট বোল্যান্ড। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে হ্যাটট্রিক করে আলোচনায় এসেছিলেন এই ডানহাতি পেসার। সাধারণত কোনো পেসার ইনজুরিতে পড়লেই সুযোগ পান বোল্যান্ড, আর সুযোগ পেলেই নিজেকে প্রমাণ করে আসছেন তিনি।
শেফিল্ড শিল্ডে মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচের পরই ঘোষণা করা হবে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টের স্কোয়াড। কামিন্স যদিও ম্যাচে খেলতে পারছেন না, তবু দলের সঙ্গে ভ্রমণ করবেন বলে জানা গেছে।
