বোর্ডের ওপর সরকারী হস্তক্ষেপের কারণে গত বছরের ৯ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড-এসএলসিকে নিষিদ্ধ করেছিলো ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল, আইসিসি। আজ থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা আর থাকছে না।
কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিরে মাটি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। যেটি এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে।
২৮ জানুয়ারি, বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে আইসিসি’র পক্ষ থেকে পাঠানো ই-মেইলে বার্তায় বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এসএলসি’র ওপর কঠোর নজরদারি চালিয়ে আসছিলো আইসিসি। এই মুহুর্তে আসিসি’র সদস্য থাকার সব ধরনের শর্তই পূরণ করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ফলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যেভাবে ঘটনার শুরু:
গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের ভরাডুবির কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সব সদস্যকে ৬ নভেম্বর বরখাস্ত করেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে। নতুন বোর্ড গঠনের পাশাপাশি সাত সদস্যের একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিও গঠন করা হয়। যার প্রধান করা হয় ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে। এই ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।
কিন্তু দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে পরদিনই ওই বিজ্ঞাপনের ওপর ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা করেন। কিন্তু এর দুইদিন পরই দেশটির সরকার ও বিরোধী দল সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড সদস্যদের বরখাস্ত করার প্রস্তাব পাশ করে।
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ভরাডুবির কারণে এসএলসির কর্তারা দর্শকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। এর রেশ ধরে মোহন ডি সিলভা বোর্ড সেক্রেটারির পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এর পরই বোর্ডের সবাইকে পদত্যাগে বাধ্য করান ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে।
শ্রীলঙ্কার মাটি থেকে সরিয়ে নেয়া হয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট:
২১ নভেম্বর বোর্ডের জরুরি সভায় শ্রীলঙ্কার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ট চূড়ান্ত করে আইসিসি। অবশ্য নিষিদ্ধ করার পরও ক্রিকেটে সূচীর স্বার্থেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চালানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নেয়ার সুযোগ রাখা হয় শ্রীলঙ্কার সামনে।
২১ নভেম্বরের আইসিসি সভায় এসএলসিকে জানিয়ে দেয়া হয় যে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার মর্যাদা তারা হারিয়েছে এবং নতুন ভেন্যু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।