বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ২৮২ রান করেছে। চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টস জয়ের পর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের এই সংগ্রহ।
পাকিস্তানের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। আর এই সমালোচনার তীরে সবার আগে বিদ্ধ হচ্ছেন অধিনায়ক বাবর আজম। বিশ্বকাপে নামের প্রতি সুবিচার করতেই পারছেন না ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সেরা এই ব্যাটার। প্রথম দুই ম্যাচে চরমভাবে ব্যর্থ। তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেও দল জয়ের দেখা পাননি। চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাবর নিজে যেমন ব্যর্থ, তেমনি দলও। অবশেষে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার ব্যাটে রান এসেছে। ৭৪ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
টস জয়ের পর ব্যাট হাতে নামা পাকিস্তানের সূচনাটা খারাপ ছিল তা বলা যাবে না। পাওয়ার প্লের সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন দুই ওপেনার। প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৫৬ রান যোগ করেন আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। ফখর জামানের পরিবর্তে দলে আসা আবদুল্লাহ শফিক আস্থার জবাব দিয়ে যাচ্ছেন। ৭৫ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। পাঁচটি বাউন্ডারির পাশাপাশি দুটো ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। অধিনায়কের সঙ্গে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ তার। বাবর আজম ৯২ বলে ৭৪ রান করতে চারটি বাউন্ডারির পাশাপাশি একটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।
তবে পাকিস্তানের জন্য কার্যকরী একটা জুটি গড়েছেন শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ। ৭৩ রানের জুটি তাদের। ষষ্ঠ উইকেটে তারা দলকে মূল্যবান ৭৩ রান এনে দেন। মারমুখী ব্যাট করেছেন ইফতিখার। তার ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের রান তড়তড়িয়ে বেড়েছে। মাত্র ২৭ বলে ৪০ রান করেন তিনি। দুই বাউন্ডারি ও চার ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। শাদাব খানেরও সংগ্রহ ৪০। তবে খেলেছেন ৩৮ বল। একটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে।
আফগানিস্তানের সফল বোলার ছিলেন নূর আহমদ। তিন উইকেট পেয়েছেন তিনি। এছাড়া নাভিন উল হক পেয়েছেন দুই উইকেট। মোহাম্মদ নবী ও আজমাতুল্লাহ ওমারজাই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। রশিদ খান ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩




















