রশিদ খান-নবিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন ট্রট!

জোনাথন ট্রটের অধীনে রশিদ-নবিরা পেয়েছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য

এই মুহুর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভয়ঙ্কর দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে আফগানিস্তান। তাদের ক্রমোন্নতির কারণে অনেকে কিছুটা হাস্যরসের সাথেই বলে থাকেন যে, এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল আফগানরা। তবে এর সঙ্গে বাস্তবতারও মিল রয়েছে। তারা ভারত ব্যতীত এশিয়ার বাকি ৩টি টেস্ট খেলুড়ে দল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার জন্য রীতিমতো আতঙ্কের নাম। বাংলাদেশ তো নিয়মিতই আফগানিস্তানের কাছে হারছে। আর পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও তারা মাঝে মাঝেই জিতে থাকে। তাই আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ওয়ানডেতে এখন ৭ নম্বরে।

আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভূতপূর্ব উন্নতির পেছনে বড় অবদান ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার জোনাথন ট্রটের। ২০২২ সালের জুলাইয়ে তিনি আফগানদের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর থেকেই একের পর এক বড় সাফল্য ধরা দিয়েছে আফগানিস্তানকে।

কিন্তু সেই জোনাথন ট্রট আর থাকছেন না আফগান ক্রিকেটের সঙ্গে। রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন তিনি। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে আফগানিস্তানের দায়িত্ব ছাড়ছেন ট্রট। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এই কোচ নিজেই জানিয়েছেন তার সরে দঁড়ানোর বিষয়টি।

জোনাথন ট্রট আফগানিস্তান দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে বলেছেন,‘আফগানিস্তান জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য এক বিশেষ সৌভাগ্যের বিষয় ছিল। তাদের আবেগ, দৃঢ়তা এবং সাফল্যের ক্ষুধা প্রত্যক্ষ করা অনুপ্রেরণাদায়ক।’

জোনাথন ট্রটের অধীনে গত ৩ বছরের মধ্যে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছে আফগানিস্তান।  ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অল্পের জন্য সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি তারা। ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে পুরো বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দেয় তারা। কিন্তু তীব্র লড়াইয়ের পর নাটকীয়ভাবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি।

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য সেমিফাইনাল খেলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান। এটাই বৈশ্বিক কোনো ক্রিকেট আসরে সেরা সাফল্য আফগানিস্তানের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেদের সেরা র‌্যাঙ্কিংয়ে ওঠে তারা কোচ ট্রটের অধীনে।

অবশ্য বিনয়ী ট্রট এ বিষয়ে বলেছেন,‘আমরা একসঙ্গে যা অর্জন করেছি, তাতে আমি গর্বিত, এবং আমি সবসময় আফগান ক্রিকেটের সমর্থক হয়ে থাকব। আমি দলটির এবং আফগান জনগণের আগামীর সাফল্য কামনা করছি।’

Exit mobile version