গত সোমবার বিকেএসপিতে ডিপিএলের ম্যাচে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নেমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। এরপর বুকে ব্যথা নিয়ে তিনি নিকটস্থ সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায়, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তামিমের। হার্টে ব্লক ধরা পড়ার পর রিংও পরানো হয়।
গতকাল সকাল থেকে তার অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরে সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে আসা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। তামিমকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে আগামী তিন মাস। অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন নিকটাত্মীয় থেকে শুরু করে বিসিবি ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।
তামিমের চাচা আকরাম খান তামিমের অসুস্থতা খবর শোনার সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। আজ (বুধবার) মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন,‘যখন আমি খবরটা পেয়েছি, দ্য নিউজ ওয়াজ ভেরি ব্যাড। আমাকে বলা হলো তামিম আর বেঁচে নেই। এটা কল্পনাও করতে পারিনি। কোনো দিন ভাবিওনি এ ধরনের খবর শুনব। এত অল্প বয়সী, ছেলের মতো। এরপর ঘণ্টা দেড়েক বাড়িতেই ছিলাম। খুব আপসেট ছিলাম।’
আকরাম আরও বলেন, ‘ঘণ্টা দেড়েক পর ডাক্তাররা কল করলেন কনফারেন্সে। বললেন রিং লাগানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছে। তখন একটু স্বাভাবিক হয়েছি। যেহেতু রিং লাগাতে যাচ্ছে তার মানে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে। স্পোর্টসের সঙ্গে থাকা লোক, যে অসুস্থ হওয়ার আগের ১০ দিনে দুইটা সেঞ্চুরিও করেছে…কল্পনা করা যায় না। আমার পাশাপাশি অন্য সবাই–ও খুব আপসেট হয়েছেন।’
তামিমকে শিগগিরই বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তার চাচা, ‘তামিম যে জায়গা থেকে ফিরে এসেছে, আপনাদের দোয়া ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। প্রচুর কল-ম্যাসেজ পাচ্ছি। সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কাল ডাক্তারের সঙ্গেও কথা হয়েছে, এ ধরনের রোগীর ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। আল্লাহ রহমতে ও ফিরে এসেছে।’
এছাড়া তিনি বলেন,‘এখন সে পর্যবেক্ষণে আছে। আরও ২-৩ দিন এই অবস্থায় থাকলে বাসায় নিয়ে আসতে পারব। যে চিকিৎসা হওয়ার তো হয়ে গেছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব পারিবারিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাব। দুশ্চিন্তা রাখতে চাচ্ছি না’, আরও যোগ করেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।