বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে অংশ নিলে জয়ের ব্যাপারে নিজের কোনো সন্দেহ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আজ রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ক্লাব অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে ঢাকার লিগসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
বিসিবির এ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তামিম। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সরকারি হস্তক্ষেপ ও অস্বচ্ছতা এবং তৃতীয় বিভাগ বাছাই পেরিয়ে আসা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ স্থগিতের প্রতিবাদে তিনি ও আরও ১৫ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। পরবর্তীতে ওই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ পুনর্বহাল করা হয়।
নির্বাচনের আগের রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, “ধৈর্য ধরলে অনেকেই বিসিবি পরিচালক হতে পারতেন।” সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল—তামিম কি সেই ‘ধৈর্য না ধরে নির্বাচনের ট্রেন মিস’ করেছেন? জবাবে তামিম বলেন,
“আমি নিশ্চিত, আমার বিষয়ে আপনাদের কমবেশি ধারণা আছে। আপনি সত্যিই মনে করেন, ১৫টা ক্লাব থাকুক বা না থাকুক—আমি যদি নির্বাচনে দাঁড়াতাম, আমার জন্য কেউ ভোট দিত না? আমার জন্য বাস ধরা বা না ধরা কখনোই বিকল্প ছিল না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া—এটাই ছিল আমার অবস্থান।”
তামিম আরও বলেন,
“আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়াতাম, আমার পক্ষে কোন টিম আছে বা বিপক্ষে কে আছে—এসব না ভেবেও সহজেই পাস করতাম। এতে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না, কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই ক্রিকেটের স্বার্থেই আছি।”
বিসিবি নির্বাচন ঘিরে ই–ব্যালট ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তামিম। তার বক্তব্য,
“আপনি ই–ভোটিং করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেন্দ্রে আছেন, তাহলে ই–ভোটিং করার দরকারটাই বা কী?”
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগেই ক্লাব অর্গানাইজার অ্যাসোসিয়েশনের একটি অংশ লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছিল। এবার তারা ঘোষণা দিয়েছে—জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রিকেটও বর্জন করা হবে। যদিও নবনির্বাচিত বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করতে চান তারা।
তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আজ আবারও বর্জনের ঘোষণা আসে। বর্জনের ফলে ক্রিকেটারদের আর্থিক সংকটে পড়ার আশঙ্কা প্রসঙ্গে তামিম বলেন,
“এটা নিয়ে চিন্তা করার দায়িত্ব যাঁরা নির্বাচন করেছেন, তাঁদেরই।”
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















