আম্পায়ারকে অন্য চাকরি খুঁজতে বললেন লঙ্কান অধিনায়ক

‘এমন কিছু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হওয়া উচিত নয়। (কোমর উচ্চতার) খুব কাছাকাছি থাকলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু বলটা অনেক ওপর দিয়ে যাচ্ছিল…আরেকটু ওপরে থাকলে ব্যাটসম্যানের মাথায়ও লাগতে পারত। এখন সেটা যদি দেখতে না পায়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সেই আম্পায়ার মানানসই নন। তিনি অন্য কোনো কাজে থাকলে সেটা খুব ভালো হতো।’

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা

লিন্ডন এডওয়ার্ড হানিবল। বর্তমানে আইসিসির আন্তর্জাতিক আম্পায়ার। একটা সময় খেলেছেন শ্রীলঙ্কার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। অভিজ্ঞ এই আম্পায়ার ইতিমধ্যে ৩টি টেস্ট, ২৬টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। তবে তাঁর একটি ‘নো’ বল নিয়ে সিদ্ধান্ত মনের মতো না হওয়ায় লঙ্কান অধিনায়ক হাসারাঙ্গা বলেন তিনি অন্য কোনো কাজ করলে ভালো হতো।

গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিলো শ্রীলঙ্কা। আফগানদের দেয়া ২১০ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ৩ রানে হারে তাঁরা। যাতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় হাসারাঙ্গার দলের।

ম্যাচশেষে হানিবলের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে ইঙ্গিত করে নিজের ক্ষোভ ঝেড়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। কারণ, কামিন্দু মেন্ডিসের বাহু বরাবর বল ওঠার পরেও ‘নো বল’ ঘোষণা করেননি স্কয়ার লেগে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্বে থাকা হানিবল।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৯ রান দরকার ছিলো শ্রীলঙ্কার। ক্রিজে তখন সেট ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস। বোলিংয়ে থাকা আফগান পেসার ওয়াফাদার মোমান্দের করা প্রথম দিন বলে ৮ রান তুলে নেন কামিন্দু। ৩ বলে ১১ রান দরকার, এমন পরিস্থিতিতে চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্প ও মিডল স্টাম্প বরাবর ফুল টস করেন ওয়াফাদার।

বলটি দেখেই বোঝা গিয়েছিলো আইন অনুযায়ী সেটি ‘নো বল’। এমনকি ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী এটি ‘নো বল’ ছিলো।

ম্যাচ শেষে লঙ্কান অধিনায়ক হাসারাঙ্গা বলেন, ‘এমন কিছু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হওয়া উচিত নয়। (কোমর উচ্চতার) খুব কাছাকাছি থাকলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু বলটা অনেক ওপর দিয়ে যাচ্ছিল…আরেকটু ওপরে থাকলে ব্যাটসম্যানের মাথায়ও লাগতে পারত। এখন সেটা যদি দেখতে না পায়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সেই আম্পায়ার মানানসই নন। তিনি অন্য কোনো কাজে থাকলে সেটা খুব ভালো হতো।’

Exit mobile version