কোচ সালাউদ্দিন প্রসঙ্গে আশরাফুলের খোলামেলা মন্তব্য
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের (পুরুষ) সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তিনি ইতোমধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আসন্ন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। আর এবিষয়েই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন বাংলাদেশ দলের নতুন ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মোহাম্মদ আশরাফুল এর নাম।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “তিনি (সালাউদ্দিন) আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর দায়িত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে আমরা অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা করব, তারপর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাব।”
সালাউদ্দিনের এমন সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়, যখন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। ৪ নভেম্বর বিসিবি এ নিয়োগ ঘোষণা দেয়। ফলে দুজনের সম্পর্ক নিয়ে ক্রিকেট অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক সবসময়ই ভালো ছিল
তবে আশরাফুল জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক সবসময়ই ভালো ছিল। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ভালো, সালাউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গেও তাই। আমি অধিনায়ক থাকাকালীন সময়েও উনি কোচ ছিলেন। তাই যেভাবে অনেকে ভাবছেন, তেমন কোনো বিষয় নয়।”
গত বছরের ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সালাউদ্দিন। ঠিক এক বছর পর, একই দিনে (৫ নভেম্বর) বিসিবির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার দায়িত্বকালে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে বড় উন্নতি দেখা যায়নি। বরং বেশ কয়েকজন ব্যাটার ধারাবাহিকতায় ভুগেছেন।
এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ হিসেবে জাতীয় দলে ফিরেছেন আশরাফুল। একসময় দলের পোস্টারবয় হিসেবে পরিচিত এই ব্যাটার ১১ বছর পর নতুন ভূমিকায় ফিরছেন জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে।
নিজের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, “ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকেই কোচিং নিয়ে পরিকল্পনা করছিলাম। মাঠের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছি, তাই কোচিংয়ে এসেছি। আবারও বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে ফিরতে পেরে দারুণ লাগছে। এখানে ১৩ বছর খেলেছি, অসংখ্য কোচের অধীনে কাজ করেছি। এখন সেই অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে চাই বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার খেলার জীবনে যেভাবে সাফল্য আর ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছি, সেসব অভিজ্ঞতা তাদের জানাব। ক্রিকেটে কৌশলগত দিকের চেয়ে মানসিকভাবে শক্ত হওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি সেদিকেই কাজ করব, যাতে ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে দৃঢ় হয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিতে পারে।”
