ইতিহাস গড়লেন সাকিব, টি–টোয়েন্টিতে অনন্য মাইলফলক

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) শুরুটা একেবারেই মন মতো হচ্ছিল না সাকিব আল হাসানের। প্রথম তিন ম্যাচে বল হাতে পান মাত্র এক ওভার করে, তাতেই মেলে কেবল একটি উইকেট। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়ার্সের বিপক্ষে দুই ওভার করেও ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে রোববার (২৪ আগস্ট) রাতটা হয়ে রইল একেবারে তার নামের। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্সের এই বাঁহাতি স্পিনার মাত্র দুই ওভারে তুলে নিলেন ৩ উইকেট। আর এর মধ্য দিয়েই ছুঁলেন টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক।

শুধু বোলিং নয়, ব্যাট হাতেও খেলেছেন কার্যকরী ইনিংস। ১৮ বলে ১ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে করেছেন ২৫ রান। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় অ্যান্টিগা। পয়েন্ট টেবিলেও শীর্ষে উঠে যায় দলটি—৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারও গেছে সাকিবের হাতে।

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের ক্লাবে সাকিবের আগে ছিলেন কেবল চারজন—রশিদ খান, ডোয়াইন ব্রাভো, সুনীল নারিন ও ইমরান তাহির। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো বাংলাদেশের এই তারকার নাম। তবে এখানেই শেষ নয়, এক ভিন্ন উচ্চতাতেও পৌঁছেছেন তিনি। ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি–টোয়েন্টিতে একসঙ্গে ৭ হাজার রান ও ৫০০ উইকেটের মালিক এখন সাকিব আল হাসান।

নিজের কীর্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাকিব বলেন,

“এটা দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল। এমন অর্জন পেয়ে আমি খুশি। ক্যারিয়ারে যা পেয়েছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট।”

৩৮ বছর বয়সী সাকিব এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন ৪৫৭ ম্যাচ ও ৪১৯ ইনিংস খেলে। বর্তমানে পাঁচশর সবচেয়ে কাছাকাছি আছেন আন্দ্রে রাসেল, যার ঝুলিতে ৪৮৭ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৯ হাজারের বেশি রান।

অ্যান্টিগার হয়ে সাম্প্রতিক সময়ে পুরো কোটার বোলিং করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না সাকিব। সর্বোচ্চ দুই ওভার করার সুযোগ এসেছে শেষ দুই ম্যাচে। তবে সেন্ট কিটসের বিপক্ষে ওই দুই ওভারেই মাত্র ১১ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। নিয়মিত বোলিং না পাওয়ায় সমালোচনা থাকলেও সাকিবের লক্ষ্য একটাই—দলের হয়ে অবদান রাখা।

তার ভাষায়,

“আমি খুব বেশি বোলিং করিনি, কিছুটা নার্ভাসও ছিলাম। বেশি ওভার না পাওয়ায় অনেকেই সমালোচনা করছে। তবে সবই দলের জন্য। যখনই সুযোগ পাই, চেষ্টা করি যেন দলের কাজে আসে।”

Exit mobile version