চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ফলো-অনে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা এখন কঠিন সংকটে। দলের নেতৃত্বে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তকে অদ্ভুত দক্ষতায় প্রতিরোধ গড়তে হবে ইনিংস হার এড়াতে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশ দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ৪০০ রানে বিশাল লিড দিয়ে ফলো-অন করিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিপক্ষের বোলাররা দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ওপেনারদের দ্রুত আউট করে চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রথম ওভারেই প্রোটিয়া বোলার প্যাটারসন এবং মুথুসামি বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে ওপেনারদের ফিরিয়ে দেন।
এরপর কেশব মহারাজের প্রথম শিকার হন মমিনুল হক। বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা মমিনুল এদিন শূন্য রানে আউট হন। জাকির হাসানও দ্বিতীয় সেশনের শেষ বলেই মাইন্ডলেস অ্যাডভান্স করতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। বাংলাদেশের সামনে তখন ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
শেষ সেশনে ক্রিজে নেমে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম চেষ্টা করেন প্রতিরোধ গড়ার। তবে মুশফিকুরের ব্যর্থতা এবং দলের ধারাবাহিক উইকেট হারানোর প্রবণতা ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ন্ত্রণে রেখে দেয়। প্রোটিয়া বোলাররা চট্টগ্রাম টেস্টের প্রতিটি সেশনে দারুণ ফর্মে রয়েছে, যা ম্যাচটি তৃতীয় দিনেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের সামনে এখন একমাত্র লক্ষ্য ইনিংস পরাজয় এড়ানো। তবে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউ অতিমানবীয় ইনিংস না খেললে হারের গন্তব্য রুখে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















