বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪২৮ রান জমা করেছিলো প্রোটিয়ারা। শুধু তাই না, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে ৭৫৪ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা যা বিশ্বকাপের এক ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। অন্যদিকে কোহলি-রাহুলের বীরত্বে প্রথম ম্যাচে অজিদের হারিয়েছে ভারত। মাত্র ১৯৯ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যান ইন ব্লুদের কাছে ছয় উইকেটে হেরেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
লক্ষ্মৌর বিআরএসএবিভি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাটিং এর দিক দিয়ে হিসেব করলে লক্ষ্মৌর পিচে ভালো রান আসার কথা। আর দক্ষিণ আফ্রিকা যদি প্রথমে ব্যাট করতে নামে তাহলে আগের ম্যাচের মতো রানের পাহাড় গড়ে তুলবে। তবে যেখানে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কমিন্সের মতো পেসার রয়েছে সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, ওয়ানডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৮টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৫০টি ম্যাচ, দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ৫৪টি। আর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। শুধু তাই না, ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩৮ রান তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দেখতে দর্শক সংখ্যা কম হলেও যারা গিয়েছিলেন তাদের পয়সা উসুল হয়েছেই বলা চলে। ইতিহাসের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ম্যাচটি উপভোগ করতে পারেন গুটিকয়েক ওই দর্শক। দলীয় ১০ রানের সময় ব্যক্তিগত ৮ রান করেই সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। কুইন্টন ডি কক, রসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম তিনজনই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন। তাদের তিন সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়ে প্রোটিয়ারা।
অন্যদিকে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ভারতের কাছে শোচনীয়ভাবে হেরেছে। বলা যায় বাজেভাবে শুরু হয়েছে অজিদের। রোহিতদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ম্যাচ হেরেছে প্যাট কমিন্সের দল। তবে মারনাস লাবুশেন, ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথরা নিজেদের ফিরে পেলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে অজি ও প্রোটিয়াদের মধ্যে।