মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অদ্ভুত এক আউট হয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। হাত দিয়ে বল ধরে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে একাত্তর টিভির খেলাযোগ ‘মিরপুর টেস্টে স্পট-ফিক্সিংয়ের গন্ধ! সন্দেহ সিনিয়র ক্রিকেটারের দিকে’ শিরোনামে টেলিভিশন ও অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। বেসরকারী গণমাধ্যমটির সেই প্রতিবেদনটির কারণে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে সুনাম ক্ষুন্ন হয়।
প্রতিবেদনটি এমন সময়ে করা হয়েছে যখন বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট চলমান। বিকৃত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনটির কারণে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সময় পার করেছেন “মিস্টার ডিপেন্ডেবল”-খ্যাত মুশফিক। তাই প্রতিবেদনে আউট নিয়ে ভিত্তিহীন, মনগড়া, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য পরিবেশন করাতে অপূরণীয় সুনামহানি হওয়ায় টেলিভিশনটিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি।
মুশফিকের পক্ষে নোটিশটি ইমেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
একাত্তর টেলিভিশনের হেড অফ নিউজ, ক্রীড়া সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সাইফুল রূপককে আইনী নোটিশটি পাঠানো হয়।
আইনী নোটিশটিতে ওই গণমাধ্যমকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে। সেই সাথে যেসব অনলাইনে এই নিয়ে সংবাদ আছে সেখান থেকে দ্রুত অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এনিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, মুশফিক প্রথম পদক্ষেপ নেয়ায় তাঁরা পরবর্তীতে এ বিষয়ে এগিয়ে আসবেন।
এরই মধ্যে ৭১ টেলিভিশন প্রতিবেদনটি ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে সরিয়ে দিয়েছে এবং ভুল তথ্যের খবরটি প্রকাশের জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছে।