এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ফের চ্যাম্পিয়ন আকবর আলীর রংপুর বিভাগ। গতবার ঢাকা মেট্রোকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরে শিরোপা জিতেছিল রংপুর। এবার খুলনাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এনসিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতল আকবর আলীর দল।
কাল সিলেটে শিরোপা জয়ের আশায় ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে তারা। খুলনার বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে নাসির হোসেন ও জাহিদ যায়েদ দারুণ শুরু করেন। জায়েদ ২৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২০ রান করে বিদায় নেন। এরপর অভিজ্ঞ নাঈম ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে রংপুরে শিরোপার পথে এগিয়ে নেন নাসির হোসেন।
তবে ছক্কায় ফিফটির আশায় আফিফ হোসেন বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন নাসির হোসেন। মাত্র ৪ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত! ৩১ বলে ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪৬ রান করেন দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাসির। ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ১২১ রান তোলে রংপুর বিভাগ। এবার নাঈম ইসলামের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন অধিনায়ক আকবর আলী। শেষ পর্যন্ত নাঈম ইসলাম ৩২ বলে ৪৬ ও আকবর আলী ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মিঠুনের খুলনা বিভাগ ৮ উইকেটে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে ৷ ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে একের পর এক উইকেটে হারায় তারা। ওপেনার ইমরানুজ্জামান শুরুতেই শূন্য রানে বিদায় নেন। আর এক ওপেনার সৌম্য সরকার ৮। ওয়ানডাউনে নামা এনামুল হক বিজয় ১২ রান করে রানআউট। জাতীয় দলের আর এক ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুব করেন ১৪ রান। এরপর শেখ পারভেজ হোসেন নতুন জীবন পেয়েও ৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
ফাইনালে দলের বিপদে হাল ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। তার ব্যাটে আসে সর্বোচ্চ রান। এই অধিনায়ক ৩২ বলে ৪৪ রান করেন একটি চার ও তিনটি ছক্কায়। ষষ্ঠ উইকেটে তাকে সঙ্গ দিয়ে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১৩ বলে ২৪ রান করেন দুইটি করে চার ও ছক্কায়। খুলনার ব্যাটিং প্রতিরোধ এতটুকুই। বাকিটা সময় ছিল রংপুরের দাপট। খুলনাকে চাপে রাখতে ইনিংসে আট বোলার ব্যবহার করেন অধিনায়ক আকবর। ২ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল আটে বোলিংয়ে আসা আব্দুল্লাহ আল মামুন। ১টি করে উইকেট নেন নাসুম, হাসিম, ইকবাল, এনামুল ও আলাউদ্দিন বাবু।
ফাইনাল সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা বিভাগ ২০ ওভারে ১৩৬/৮
রংপুর বিভাগ ১৭ ওভারে ১৩৮/২
রংপুর ৮ উইকেটে জয়ী
