এবার ছয় বছরের জন্য ক্রিকেটে নিষিদ্ধ স্যামুয়েলস

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন স্যামুয়েলস। এবার দুর্নীতিবিরোধী নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন তিনি। একটি স্বাধীন ট্রাইব্যুনালের অধীনে তাঁকে ছয় বছরের জন্য সমস্ত ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

২০২০ সালের নভেম্বরে সমস্ত পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন এই ৪২ বছর বয়সী ক্রিকেটার। চলতি বছরের আগস্টে ২০১৯ আবুধাবি টি-১০ লিগ চলাকালীন সময়ে চারটি নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ক্রিকেট বিশ্বের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)- এর দ্বারা অভিযোগ করা হয়েছিলো যে প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন তথ্য গোপন করে তদন্তে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তদন্তে বাধা সৃষ্টি বা বিলম্ব করার জন্যও দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে একটি উপহারের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ৭৫০ মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের আতিথেয়তা প্রকাশ করতেও ব্যর্থ হন এই ক্রিকেটার, যা অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দল এমনকি ক্রিকেট খেলাকেও অসম্মানিত করেছে বলে জানিয়েছে আইসিসি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই ফাইনালেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন মারলন স্যামুয়েলস। ২০০০ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে ৭১টি টেস্ট,২০৭টি ওয়ানডে এবং ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন তিনি।

ক্যারিয়ারে এর আগেও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন মারলন। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন সময়ে একজন বুকমেকারকে তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। একারণে তাঁকে ২০০৮-২০১০ এর মধ্যে দুই বছরের জন্য সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় তাঁকে।

আইসিসির এইচআর অ্যান্ড ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল এই নিয়ে বলেছেন ‘‘জনাব স্যামুয়েলস প্রায় দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, সেই সময়ে তিনি অসংখ্য দুর্নীতিবিরোধী সেশনে অংশ নিয়েছেন এবং জানেন যে দুর্নীতিবিরোধী কোডের অধীনে তার দায়িত্ব ঠিক কী ছিল।’’

Exit mobile version