এসিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা রংপুরের

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনাল মানেই টানটান উত্তেজনা! যেখানে দলের সেরা ব্যাটারদের উপর দৃষ্টি থাকে সবার! সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে বিরাট কোহলির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত। কিন্তু কোন ফাইনালে দুই দলের অধিনায়ক ডাক মারেন এমন ঘটনা বিরল!

হাঁ! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এমনটা ঘটেছে বাংলাদেশের এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে। রোমাঞ্চ আর উত্তেজনার মধ্য দিয়ে সব ছাপিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। যার হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রথম শিরোপার জিতেছিল।

সেই আকবর আলী এবার এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরেই চমক দেখালেন। চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় দলের তারকারাও। সেখানে তরুণদের নিয়েই টুর্মামেন্টের শুরু থেকে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দেন আকবর।

হাইভোল্টেজ ফাইনালে বল হাতে নাঈমের ঢাকা মেট্রোকে দাঁড়াতেই দেয়নি রংপুরের বোলাররা। অল্প রানেই গুটিয়ে দেয় তাদের। তাতে সহজ জয়েই প্রথমবারের মতো আয়োজিত এনসিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতে নিল রংপুর।

ফাইনালে ঢাকা মেট্রোকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আকবর আলীর রংপুর বিভাগ। এদিন ঢাকা মেট্রো ১৬.৩ ওভারে মাত্র ৬২ রানেই অলআউট হয়ে যায়। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকা মেট্রো আলাউদ্দিন বাবু ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধের বোলিং তোপে পড়ে।

ঢাকার মাত্র দুজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছেন। শামসুর রহমান শুভ ১৪ এবং আবু হায়দার রনি ১৩ রান করেন। আসরে শুরু থেকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাঈম শেখ শুন্য রানে বিদায় নেন। বল হাতে রংপুরের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ৪ ওভার বোলিং করে ১২ রানে একাই নেন তিন উইকেট। আসরের অন্যতম সেরা বোলার আলাউদ্দিন বাবু ৩.৩ ওভঅরে ১২ রানে তিন উইকেট

তবে ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয় খুব একটা সহজে আসেনি রংপুরের। মন্থর শুরুর পর আলিস আল ইসলামের ওভারে আব্দুল্লাহ আল মামুনের উইকেট হারায় রংপুর। ১৮ বলে ৯ রান করা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে রনি।

এরপর অধিনায়ক আকবর আলী রানআউটে কাটা পড়েন। রানের খাতাও খুলতে পারেননি রংপুরের অধিনায়ক। রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৮ রান।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে তানবীর হায়দার ও আরিফুল হক ২৪ রান যোগ করে ম্যাচ রংপুরের অনুকূলে নিয়ে আসেন। ১১ বলে ১৪ রান করা আরিফুলকে আউট করে ম্যাচে ফের রোমাঞ্চ নিয়ে আসেন রাকিবুল। পাঁচ উইকেট হাতে নিয়ে তখনও রংপুরের দরকার ২১ রান।

তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তানবীরকে নিয়ে বাকি সেরে ফেলেন এনামুল হক আনাম। ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন আনাম। তানবীর ২০ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় পায় রংপুর। ঢাকার পক্ষে আলিস আল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ঢাকা মেট্রো ১৬.৩ ওভারে ৬২/১০

রংপুর ১১.২ ওভারে ৬৫/৫

রংপুর ৫ উইকেটে জয়ী

Exit mobile version