ভারতের সেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ নিজে থেকেই ম্যান ইন ব্লুদের অধিনেয় দায়িত্ব নিয়েছিলেন না—ওয়ার্কলোড ও নিজের দীর্ঘ মেয়াদি স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নিজেই নেতৃত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বোর্ডার‑গাভাস্কার ট্রফি ও অস্ট্রেলিয়া সফরে স্ট্যান্ড‑ইন অধিনায়ক হিসেবে দারুণ পারফর্ম করার পর ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাকে রোহিত শর্মার অবসর ঘোষণার পর সম্ভাব্য নতুন অধিনায়ক মনে করেছিল। তবে বেশ নাটকীয়ভাবে পেসার শুভমান গিলকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
গিলের হাতে ভারতের নেতৃত্ব যাওয়ার আগেই বুমরাহকে বলা হয়েছিল দল পরিচালনার জন্য। কিন্তু সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে বুমরাহ জানিয়েছেন, “আইপিএল চলাকালীন আমি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি, পাঁচ টেস্ট সিরিজে ওয়ার্কলোড নিয়ে। আমার চিকিৎসকের পরামর্শ ছিল আমাকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বুঝেছি, আমাকে আরও সতর্ক হতে হবে। তাই বিসিসিআইকে বলেছিলাম, আমি নেতৃত্ব নিতে চাই না, কারণ পাঁচ টেস্টে আমার সর্বোচ্চ দিতে পারব না। দলের জন্যও ভালো হতো না যদি কেউ তিন ম্যাচ নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং অন্য কেউ দুই ম্যাচ।” এই সিদ্ধান্তের পেছনে সংবেদনশীল ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতীয়মান।
গত অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সিডনি টেস্টে বুমরাহ পিঠে চোটে পড়েন। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও আইপিএল শুরুতে খেলতে পারেননি। ২০২৩ সাল থেকে এই চোটের কারণে তিনি দীর্ঘ দিন খেলছেন না। তার শারীরিক অবস্থা ও পরিপক্ক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বুমরাহ নিজেই নেতৃত্ব অস্বীকার করেছেন।
বর্তমানে পাঁচ টেস্টের মধ্যে তিনটিতে বুমরাহ খেলবেন, তবে কোন কোন ম্যাচে খেলবেন তা নির্ধারণ হয়নি। বিসিসিআইয়ের পরিকল্পনায় এখন প্রধান দায়িত্ব ছেড়ে তরুণ শুভমান গিলকে অভ্যাসগত অধিনায়ক হিসেবে প্রস্তুত করা হবে।
