বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি। সিরিজের এই সূচনা ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী, ফুরফুরে মানসিকতা নিয়েই নামবে লিটন দাসের দল।
ম্যাচের আগের দিন সেন্টার উইকেটে দেখা গেছে এক ঝলক ঝলমলে ব্যাটিং অনুশীলন। লিটন দাস, সাইফ হাসান ও শামীম হোসেন— তিনজনই যেন নেটে ছিলেন পুরো ছন্দে। নেট বোলারদের করা বল গ্যালারির দিকে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন একের পর এক। কখনো লং অন, কখনো লং অফ, আবার কাউ কর্নারেও উঠেছে ছক্কার পর ছক্কা। শামীমকে বেশি দেখা গেছে অফ ও লেগ সাইডে বাউন্ডারি হাঁকাতে। যদিও কেউই খুব বেশি সময় ব্যাট হাতে কাটাননি— কয়েক মিনিট শান দিয়ে সবাই ফিরে যান ড্রেসিংরুমে।
স্কোয়াডের বোলাররাও নেটে বেশ পরিশ্রম ঝরিয়েছেন। চট্টগ্রামে দুদিন আগেই অনুশীলন শুরু হওয়ায় গতকাল তাদের সেশনটা ছিল তুলনামূলক হালকা। তবে অধিনায়ক লিটনের চাওয়া স্পষ্ট— খেলোয়াড়রা যেন ম্যাচে প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতায় থাকে, বিশ্বকাপের আগে নিজেদের পরীক্ষা দেয়।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দারুণ বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতের মাটিতে সিরিজ জেতা, ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে হারানো— সব মিলিয়ে দল এখন আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর। এমনকি গত এশিয়া কাপেও ফাইনালের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল তারা।
বিশ্বকাপের আগে লিটনের দলটির হাতে এখন ছয়টি ম্যাচ— তিনটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, তিনটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ত্রিদেশীয় সিরিজের সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত নিশ্চিত এই ছয়টিই। আর লিটনের ভাবনা, এই ম্যাচগুলোতেই দলের প্রকৃত প্রস্তুতি গড়ে তোলা।
দেশের মাটিতে সিরিজ মানেই সাধারণত ‘নিজেদের সুবিধামতো উইকেট’। কিন্তু লিটন চাইছেন উল্টোটা— চ্যালেঞ্জিং, এমনকি ব্যাটারদের জন্য কঠিন উইকেটেও খেলতে। তাঁর ভাষায়,
“সত্যি কথা বলতে, আমি চাই আমাদের খেলোয়াড়রা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ুক— সেটা ব্যাটিংয়ে হতে পারে, বোলিংয়েও হতে পারে। এই ছয়টা ম্যাচে যতটা চাপ আসবে, আমাদের জন্য ততটাই ভালো।”
ব্যাকফুটে থাকা মানেই যে দুর্বলতা নয়, সেটা পরিষ্কার করেও বলেন লিটন—
“আমি চাই বোলাররা চাপের মধ্যে থাকুক, কারণ ভবিষ্যতে, বিশেষ করে বিশ্বকাপে, এই অভিজ্ঞতাই আমাদের এগিয়ে রাখবে।”
