টেস্টের প্রথম দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের বোলারদের। দ্বিতীয় দিনও তাই। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের বাকি সময়টা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ব্যাটারদের যেমন, তেমন বোলারদের। তাইতো দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মুখ অনেকটা দুঃশ্চিন্তায় ঢেকে রয়েছে।
চমৎকার ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে ৪৫০ রানে ইনিংসের ডিক্লেয়ার করেছে। ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করেছে। আজ তৃতীয় দিনে মাঠে নামার সময় বাংলাদেশের মাথায় ৪১০ রানের বিশাল স্কোরের বোঝা। হাতে ৮ উইকেট।
সবকিছুই বেশ ভালোই চলছিল বাংলাদেশের জন্য। তবে প্রথম দিনে জাস্টিন গ্রিভস ও অ্যালিক অ্যাথানেজ এবং দ্বিতীয় দিনে গ্রিভসের সঙ্গে কেমার রোচের জুটি বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে। দুই জুটিই ছিল ১৪০ রানের। গ্রিভস ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। কেমার রোচ ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছেন। ৪৭ রান করেছেন। ১৫ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ১৪৪ বল খেলে গ্রিভসকে যোগ্য প্রয়োজনীয় সমর্থন জুগিয়েছেন।দুই ঘন্টা ৪৭ মিনিট ক্রিজে ছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত কেমার রোচ পেসার হাসান মাহমুদের শিকার হন। প্রথম দিনে উইকেটশূন্য থাকা মাহমুদ সব মিলিয়ে তিন উইকেট পান তিনি। দ্বিতীয় উইকেট নিয়ে একটা কীর্তিও গড়েছেন তিনি। এক ক্যালেন্ডার বর্ষে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট তার। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক বছরেই এই কীর্তি গড়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের অষ্টম ম্যাচে এসে পেয়েছেন ২৫তম উইকেট।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা সমর্থকদের স্বস্তি এনে দিতে পারেননি। দ্বিতীয় দিনের শেষ ভাগে ২০ ওভার ব্যাট করে ৪০ রান করেছে, হারিয়েছে ২ দুইকেট। আউট হয়েছেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান।তাদের সংগ্রহ যথাক্রমে ৫ ও ১৩। ৭ রান নিয়ে মমিনুল হক এবং শাহাদাত হোসেন ১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৪৫০/৯ (ডিক্লেয়ার্ড)। (জাস্টিন গ্রিভস ১১৫, লুইস ৯৭, অ্যাথানেজ ৯০,রোচ ৪৭; হাসান মাহমুদ ৩/৮৭, তাসকিন ২/৭৬, মেহেদি হাসান ২/৯৯)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪০/২ (২০ ওভার) (মাহমুদুল হাসান ৫, জাকির ১৫, মমিনুল ৭* ও শাহাদাত হোসেন ১০*; সিলস ১/১৫, জোসেফ ১/২)।