২০২৪ সালের প্রথমেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেট শিকার করেছেন অজি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স। সিডনিতে আজ রাজার মতো খেলেছেন তিনি। দেখা মিলেছে পাঁচ পাকিস্তানি ব্যাটারের উইকেট, যা টানা তিনবার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। সেই সাথে ভেঙেছেন সাবেক অধিনায়ক মিচেল জনসনের রেকর্ডও।
আজ বুধবার সিডনিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে পাকিস্তান। শুরু থেকেই বল হাতে নিয়ে সুইং বল করতে শুরু করেন কামিন্স। প্রথমেই তিনি বিদায় করেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমকে। তাতেই ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান, প্রথম ১১ ওভারে খেলেই।
পাকিস্তানের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও অভিষিক্ত সায়েম আয়ুবকে শূন্য রানেই বিদায় করেন অন্য দুই অজি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড। এরপর কামিন্স সৌদ শাকিলকে আউট করেন। এরপর ফেরান ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। মাত্র ১২ রানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটার হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরি করতে পারেননি রিজওয়ান। এরপর কামিন্সের উইকেট শিকার করেন সাজিদ খান এবং হাসান আলীকে এবং নিজের পঞ্চম উইকেটের দেখা পান।
অজি পেসারদের বলের তোপে ২২৭ রানে ৯ উইকেট হারায় পাকিস্তান। আমির জামালের ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। এরপর বিনা উইকেটে ৬ রান তুলে দিনের ইতি টানে অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ম্যাচে টানা তিনবার ৫ উইকেট নেওয়ায় দ্বিতীয় অজি বোলার হিসেবে রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন কামিন্স। অজি স্পিনার নাথান লায়ন এর আগে ২০১৭ সালে একই রেকর্ড গড়েছিলেন।
অজি ফাস্ট বোলারদের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার তালিকায়ও নাম লেখালেন কামিন্স। সর্বমোট ১২ বার ৫ উইকেট নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন তিনি। জনসনের রেকর্ডও তার সমান।
অজি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা ২৯ বার ৫ উইকেট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন। তালিকার দুই নাম্বারে আছেন ডেনিস লিলি। সব মিলিয়ে ২৩ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি ১৬ বার ৫ উইকেট নিয়ে আছেন তিন নাম্বারে। আর ১৪বার ৫ উইকেট নিয়ে চারে যৌথভাবে অবস্থান করছেন -টেরি অলডারম্যান, অ্যালান ডেভিডসন, ক্রেইগ ম্যাকডারমট এবং মিচেল স্টার্ক।
২০২৩ বছরটা ছিল কামিন্সের জন্য সাফল্যমণ্ডিত। লন্ডনের ফাইনালে কামিন্সের নেতৃত্বে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অজিরা শিরোপা জেতে। এরপর অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করে। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অজিরা। তাছাড়া ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে কামিন্স এর দল।