‘বাংলাদেশ দলের পাশে থাকুন’ ‘টিমকে সাপোর্ট করুন’। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত হয়ে দেশের মানুষের কাছে আবেগঘন আবেদন জানান ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। নীচে পুরো বার্তাটি khela.live এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
“স্নেহের তামিম ইকবাল, প্রথমেই তুমি ভিক্টিম কার্ড প্লে করে কেঁদে কেটে বাংলাদেশ দলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তুলেছ। তুমি বুঝে হোক না বুঝে হোক এবার টিমের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছ, নেগেটিভ ভাইব তৈরি করেছ। তুমি জান লাইভে এসে কাঁদলে কী হয়। এবং ভালমতোই জান প্লেয়ারকে নিয়ে ট্রল করলে টিমের প্লেয়ার এবং পরিবারের উপর কী ভয়ংকর প্রভাব পড়ে।
খেলা শুরুর আগেই এদেরকে মানসিকভাবে তুমিই ভেঙে দিয়েছ। খেলার সময় প্লেয়ারদের আচরণে বুঝতে বাকি থাকে না তাঁরা উপরে হাসছে কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েছে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ছাড়া তোমাদের কারোরই আসলে ‘স্পোর্টসম্যান মেন্টালিটি’ নাই। স্পোর্টস ম্যান হিসেবে তোমার কী দায়িত্ব ছিল তুমি কী করেছ?
তামিম এবার বলি আমাদের কাছে তোমরা ছিলে বিশেষ শৌর্যশালী ‘পঞ্চপাণ্ডব’। বীর, তেজস্বী রাজপুত্র। রাজার ছেলে সবসময় রাজার চলবে। এভাবে ভেঙ্গে পড়বে কেন? অন্যায় হলে মাথা উচু করে প্রতিবাদ করবে। কাঁদবে কেন? কোচ, নির্বাচক এবং ক্যাপ্টেনসির বড় সমস্যা, সেগুলো নিয়ে প্রথমেই এসে মেরুদণ্ড সোজা করে কথা বলতে পারতে। কোন সংকোচ? কেন বিহ্বলতা ছিল? আর সব অন্যায় যখন মেনেই নিলে বুদ্ধিমত্তার সাথে খেলার ঠিক আগমুহূর্তে সতীর্থদের কেন সমর্থন জানালে না? ওরা না তোমার বন্ধু? একজন শৌর্যশালী ক্রিকেটার ও দলের সমর্থক হিসেবে প্রথম থেকেই উচিত ছিল তাঁদের পাশে থাকা, সমর্থন দেওয়া ও ইতিবাচক ভাইব তৈরি করা।
জেনে রাখ, আমি এবং আমার মত অনেকেই কোনো রাজনৈতিক দল করেনা ভালমন্দ যাই খেল ‘বাংলাদেশ দলে’র ফ্যান। সেই পুরনো ‘পঞ্চ পাণ্ডবের’ ফ্যান। তোমাদের এইসব ভেতরের ঝামেলা আমাদের অপছন্দ। খেলা শেষ হলে তুমি সমস্ত গোমর ফাঁস করতে, আমরা সবাই তোমার পাশে ছিলাম। কী করলে তুমি? খেলা যখন শেষ তখন বিভিন্ন সভা সমিতিতে গিয়ে যতই বল ‘বাংলাদেশ দলের পাশে থাকুন’ ‘টিমকে সাপোর্ট করুন’। লাভ নাই। যথেষ্ট হয়েছে। এসব কুমিরের কান্না করে আর সহানুভূতি নিও না। তোমার জন্য করুণাই রইল…”
এরপর মন্তব্যের ঘরে প্রিন্স মাহমুদ আরও বলেন, “সব যখন শেষ, আজ এক অনুষ্ঠানে এসে বলে ‘বাংলাদেশ দলের পাশে থাকুন’ ‘টিমকে সাপোর্ট করুন’। আর হল ভর্তি লোক আহা-আহা করে তালি দিচ্ছে। এই দৃশ্যও দেখতে হলো! হাসব না কাঁদব? একেই বলে “কুমিরের কান্না”। ও বাপ, পারিসও তোরা।”