কেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হয়েও বিসিবিতে টিকলো না ফারুক?

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সভাপতি হয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। তবে মাত্র নয় মাসের মাথায় সেই দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হলো তাকে। বিপিএল আয়োজন নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টই তার বিদায়ের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।

গত বছরের আগস্টে এনএসসির কোটায় পরিচালক হিসেবে বিসিবিতে যোগ দেন ফারুক আহমেদ। পরে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে নতুন ইতিহাস গড়েন তিনি। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে তাকে সরিয়ে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে।

জনপ্রিয় সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় ‘ঠিকানা’ অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, বোর্ডের অধিকাংশ পরিচালক ফারুকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।

বিপিএল আয়োজনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। রিপোর্টে দেখা যায়, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দল পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাকি রেখেছে এবং দেশের ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছে। আসিফ মাহমুদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ব্যর্থতাগুলোই ফারুককে সরিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণ।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন ফারুক আহমেদ। ১৯৯৩ সালের আইসিসি ট্রফিতে দলকে নেতৃত্ব দেন এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে দুই দফায় নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যার সময় সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম জাতীয় দলে অভিষেক পান।

আট বছর পর বিসিবি সভাপতির পদে ফেরা ফারুক আহমেদের মেয়াদ শেষ হলো হঠাৎ করেই। তদন্ত রিপোর্টের পর্যবেক্ষণ এবং বোর্ডের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বই তার বিদায়ের পথ সুগম করেছে।

Exit mobile version